মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করেছে দেশটির সামরিক জান্তা। একইসঙ্গে ডিসেম্বরে নির্বাচনের পরিকল্পনা পুনরায় ব্যক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচন বয়কট করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।পর্যবেক্ষকরা বলেছেন যে ,সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা সুসংহত করার জন্য এই নির্বাচনকে ব্যবহার করা হবে।

সামরিক বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চির বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে। এর ফলে বহুমুখী গৃহযুদ্ধ শুরু হয় এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটায়।

বৃহস্পতিবার জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন, “বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে দেশকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আজ জরুরি অবস্থা বাতিল করা হলো,” সাংবাদিকদের সাথে শেয়ার করা এক ভয়েস বার্তায় ।

মিন অং হ্লাইং বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, “আমরা ইতিমধ্যেই প্রথম অধ্যায়টি অতিক্রম করেছি। এখন, আমরা দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করছি। আসন্ন নির্বাচন এই ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এবং সব যোগ্য ভোটারকে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”

বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করছেন যে নির্বাচনের পরে মিন অং হ্লাইং রাষ্ট্রপতি অথবা সশস্ত্র বাহিনী প্রধান হিসেবে ভূমিকা রাখবেন এবং ক্ষমতা একীভূত করবেন। এর ফলে কার্যত শাসক হিসেবে তার মেয়াদ বৃদ্ধি পাবে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ