ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম জুলাই মাসের মতো আগস্টেও অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থ্যাৎ প্রতি লিটার ডিজেল ১০২ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১২২ টাকা এবং পেট্রল কেনা যাবে ১১৮ টাকায়।

শুক্রবার থেকেই নতুন এই দর কার্যকর হবে বলে বৃহস্পতিবার রাতে এক অফিস আদেশ জারি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

এর আগে জুন মাসের জন্য কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ২ টাকা কমিয়ে ১০২ টাকা এবং অকটেন ও পেট্রলের দাম ৩ টাকা করে কমিয়ে যথাক্রমে ১২২ টাকা ও ১১৮ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।

আরো পড়ুন:

দুই কার্গো এলএনজি আমদানি, ব্যয় ১০৩৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা

আলজাজিরার বিশ্লেষণ: ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের বৈশ্বিক প্রভাব

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত বছরের মার্চ থেকে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করে আসছে সরকার। এই হিসেবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করছে সরকার। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পাশাপাশি কোনও কোনও মাসে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আবার কোনও কোনও মাসে বেড়েছে।

গত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৪ টাকা থেকে এক টাকা বাড়িয়ে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এক টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকা এবং পেট্রোল ১২২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সরকার। পরের দুই মাস অর্থ্যাৎ মার্চ ও এপ্রিল তেলের দাম ছিলো অপরিবর্তিত। মে মাসে সেই দাম লিটার প্রতি ১ টাকা করে কমানো হয়।

গত বছরের ৩১ আগস্ট প্রথমবার জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয় সরকার। সেদিন সেপ্টেম্বর মাসের জন্য পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারে ৬ টাকা এবং প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১ টাকা ২৫ পয়সা করে কমানো হয়।

অক্টোবর মাসে দাম নির্ধারণে নভেম্বরে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন দাম ৫০ পয়সা করে কমিয়ে ১০৫ টাকা করা হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয় পেট্রোল ও অকটেনের দাম। আর ডিসেম্বরের শেষ দিন মূল্য সমন্বয়ের ঘোষণায় এক টাকা কমিয়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১০৪ টাকা। আগের মত পেট্রোল ১২১ টাকা এবং অকটেন ১২৫ টাকা রাখা হয়।

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অকট ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ