সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায় পিয়াইন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স। এ সময় বালুবাহী ৩৫টি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংস করা হয় আরো ২০টি নৌকা ও ৫টি ড্রেজার মেশিন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রতন কুমার অধিকারী। অভিযানে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা অংশ নেন।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্ট, বল্লা ঘাট ও নয়াবস্তি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল একটি চক্র। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ।

অভিযানে অংশ নেওয়া গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

কবীর হোসেন, সংগ্রাম বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার শহিদুল ইসলাম ও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল্লাহসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেছেন, “অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালানো হয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/নূর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ য় ইনঘ ট উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পা পিছলে ট্রেনের নিচে সবজি বিক্রেতা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পাশাপাশি দুটি ট্রেন তুলনামূলক কম গতিতে চলছিল। হঠাৎ একটি ট্রেনের সামনে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। ট্রেনটি চলে যায় তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দিন ওরফে জালু (৪০)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের নিধনিয়া চর ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

দুর্ঘটনার পর জালাল উদ্দিনকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজন মালাকার।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, জালাল উদ্দিন এলাকায় কৃষিকাজ করেন এবং সেখান থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্রি করেন। তিনি প্রায়ই ট্রেনে চেপে শ্রীপুর যান এবং রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গতকাল দুপুরে শাকসবজি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর যান। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ধরতে রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি দৌড় দেন। এ সময় ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। সেটি ধরতে গিয়ে পাশের রেললাইনে থাকা ঢাকাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ট্রেনের নিচে পড়ে যান জালাল উদ্দিন।

নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী ও গফরগাঁও কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী জানান, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে জালাল উদ্দিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাঁর পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারাল।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ