ইউটিউবে প্রথমে ‘ফ্যামিলি এন্টারটেইনমেন্ট বিডি’ নামে একটি চ্যানেল খোলেন খাইরুল ইসলাম। সেটা ছিল নিছক শখের বশে কিছু ভিডিও বানানোর চেষ্টা। বন্ধুবান্ধব মিলে তৈরি করা হতো মজার সব ভিডিও। দর্শকের সাড়াও ছিল খুবই সীমিত। ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা নিয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে চ্যানেলটি পুনরায় যাত্রা শুরু করে। রাকিব বলেন, ‘আমি গান গাইতাম, খাইরুল ভিডিও করত। নিজেরাই সেসব রেকর্ড করে চ্যানেলে দিতাম। কিন্তু খুব একটা কাজ হচ্ছিল না। পরে মাথায় আসে—ভারতের সিআইডি সিরিজের মতো দেশীয় সংস্করণ বানানো যায় কি না। শুরু করলাম আমাদের বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় মাটির কাছাকাছি গল্প। আমি পরিচালনা করতাম, পরে অভিনয়ও শুরু করি। আস্তে আস্তে দর্শকসংখ্যা বাড়ে, আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।’

বর্তমানে তাঁদের টিমে স্থায়ী সদস্য ১২ জন। সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৩২ জন কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের ভাষায়, ‘আমরা সবাই মিলে একটা পরিবার, যার প্রত্যেক সদস্যের অবদানেই আজকের এ জায়গায় আসা সম্ভব হয়েছে।’

চাকরি ছেড়ে কনটেন্ট নির্মাতা
ইউটিউবের জগতে নামার আগে রাকিব খুলনার একটি হোটেলে ইভেন্ট ম্যানেজারের চাকরি করতেন। আর খাইরুল ইসলাম ছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। রাকিব বলেন, ‘আমি ওকে বলি, তোর ভবিষ্যৎ এখানে না, ইউটিউবে। চাকরি ছেড়ে দে। ও আমার কথা শুনে চাকরি ছেড়ে দেয়। এরপর আমরা পুরোপুরি এই কাজেই মন দিলাম।’ বর্তমানে তাঁদের টিমে স্থায়ী সদস্য ১২ জন। সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৩২ জন কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের ভাষায়, ‘আমরা সবাই মিলে একটা পরিবার, যার প্রত্যেক সদস্যের অবদানেই আজকের এ জায়গায় আসা সম্ভব হয়েছে।’

একটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসও তাঁদের সিডনি সফরে অংশীদার হয়েছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ