কিয়েভে আবারো রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা, নিহত ৩১
Published: 2nd, August 2025 GMT
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারো ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিয়েভে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত রাশিয়ার নতুন হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং আরো ১৫৬ জন আহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (২ আগস্ট) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৩১ জনের মধ্যে ১৬ শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে। সবচেয়ে কমবয়সি নিহত শিশুটির বয়স ছিল মাত্র ২ বছর। নিহতদের স্মরণে শনিবার (২ আগস্ট) জাতীয় শোকদিবস পালন করছে ইউক্রেন।
আরো পড়ুন:
রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের
পুতিনকে এবার ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্যোশাল মিডিয়া টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। পাশাপাশি নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের রাজধানীর পাশাপাশি দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রুশ বাহিনীর ড্রোন হামলায় খারকিভে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে, যার মধ্যে একজন পাঁচ মাস বয়সী শিশু।
জেলেনস্কির দাবি, রুশ বাহিনীর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বাড়িঘর, আবাসিক ভবন, স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, চিকিৎসাকেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় ভবনসহ বিভিন্ন ধরনের ১০০টিরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানী কিয়েভের আবাসিক এলাকার একটি বড় ৯ তলা ভবনের বিশাল অংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত আবাসিক ভবনের ধ্বংস্তূপগুলোতে দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা অনুসন্ধান তৎপরতা চালাচ্ছেন। আমরা এখনো জানি না- কত জন মানুষ এসব ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে কিয়েভে বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক শিশু নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটল। গত বছরের জুলাইয়ের পর থেকে এটিই ছিল সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণ, যেখানে ৩৩ জন নিহত হয়েছিল।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সে সময় বলেছিলেন, অভিযানে শুধু ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।
অভিযানের ৮ মাসের মাথায় ২০২২ সালের অক্টোবরে কিয়েভে হামলা করে রুশ সেনারা। সেটি ছিল ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার প্রথম হামলা।
শুক্রবারের টেলিগ্রামবার্তায় জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সদ্য বিদায় নেওয়া জুলাই মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে মোট ৫ হাজার ১০০টিরও বেশি গ্লাইড বোমা, ৩ হাজার আট শতাধিখ শাহেদ ড্রোন এবং প্রায় ২৬০টি বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে ১২৮টি ছিল ব্যালিস্টিক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘ঘৃণ্য’ আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তবে একই সঙ্গে এটাও বলেছেন যে, নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে নিবৃত্ত করবে কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন।
ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ৮ আগস্টের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য একটি চুক্তি করার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন, অন্যথায় মস্কোর ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃতরা হলেন: গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মনি, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারহানা আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি শিরাজী তারিকুল ইসলাম।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানায়, কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশের মাধ্যমে এ সকল কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মনিরুজ্জামান মনি টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে ডক্টোরাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি কাটানোর পর পরবর্তী সময়ে অনুমতি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তাকে ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বরখাস্ত করা হয়।
আবদুল্লা আল মামুন পিএইচ.ডি করতে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। এরপর থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা মোতাবেক তাকে ১৫ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন ২০২১ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে অননুমোদিতভাবে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
ফারহানা আহমেদ ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মফিজুল ইসলাম ২০২৩ এর ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি কাটালেও পরে ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত। তাকে ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
শিরাজী তারিকুল ইসলামও ২০২২ সালের ১২ মে থেকে ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২১ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//