ঝালকাঠির সাবেক পৌর মেয়র লিয়াকত আলী ঢাকায় গ্রেপ্তার
Published: 3rd, August 2025 GMT
ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদারকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ডিবি পুলিশের সাইবার টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
আজ রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে ডিএমপির ওয়েব সাইট সূত্রে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঝালকাঠি থানায় তার বিরুদ্ধে বিএনপি অফিস ভাঙার অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা রয়েছে। ঝালকাঠি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘‘গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছি। তবে অফিসিয়ালি এ ব্যপারে কিছু জানানো হয়নি।’’
আরো পড়ুন:
কেরানীগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
বাকেরগঞ্জে পৌর আ.
তবে ঢাকা থেকে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে, মতিঝিল থানার একটি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী তালুকদারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। লিয়াকত আলী তালুকদার ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর একান্তজন হিসেবে পরিচিত।
ঢাকা/অলোক/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ঝ লক ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস