মাদারীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
Published: 4th, August 2025 GMT
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজৈর থানার ওসি মো. মাসুদ খান জানান, চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে তাকে মাদারীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার শাজাহান মোল্লা ইউনিয়নের নরারকান্দি গ্রামের মৃত মহসিন মোল্লার ছেলে। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পাইকপাড়া ইউনিয়নের সভাপতি।
আরো পড়ুন:
খুলনায় ঘের ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা, যুবককে গুলি
বাবার মৃত্যুর ২ ঘণ্টা পর মারা গেলেন ছেলেও, পাশাপাশি দাফন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর বোমা বিস্ফোরণ, বিএনপির দলীয় গেট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে রাজৈর থানায় একটি মামলা করেন উপজেলার পাঠানকান্দী গ্রামের শাহ আলম শেখ ওরফে কোব্বাস শেখ নামে এক বিএনপি কর্মী। ওই মামলায় শাজাহান মোল্লাকে আসামি করা হয়।
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল