মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজৈর থানার ওসি মো. মাসুদ খান জানান, চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে তাকে মাদারীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার শাজাহান মোল্লা ইউনিয়নের নরারকান্দি গ্রামের মৃত মহসিন মোল্লার ছেলে। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পাইকপাড়া ইউনিয়নের সভাপতি। 

আরো পড়ুন:

খুলনায় ঘের ব্যবসায়ীকে গলাকেটে  হত্যা, যুবককে গুলি

বাবার মৃত্যুর ২ ঘণ্টা পর মারা গেলেন ছেলেও, পাশাপাশি দাফন

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর বোমা বিস্ফোরণ, বিএনপির দলীয় গেট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে রাজৈর থানায় একটি মামলা করেন উপজেলার পাঠানকান্দী গ্রামের শাহ আলম শেখ ওরফে কোব্বাস শেখ নামে এক বিএনপি কর্মী। ওই মামলায় শাজাহান মোল্লাকে আসামি করা হয়।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আর কত অঙ্ক মেলাবে বাংলাদেশ

যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ—বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের জন্যই শৈশবের দুঃসহ স্মৃতি। পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে অনেকেই অঙ্কের কঠিন সব ধাধা থেকে বেঁচে যাওয়ার স্বস্তির শ্বাস ছাড়েন—       বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখে গণিতের সমীকরণের পথ পেরোতে হবে না এমন বিষয় খোঁজেন কেউ কেউ।

কিন্তু তিনি যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমর্থক হন? তাহলে তাঁর আর ওই সুযোগ কই। আগে তো তাও টিউশনে গিয়ে আলাদা করে অঙ্কটা বুঝে নেওয়া যেত। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের অঙ্কটা মেলাতে সে সাহায্যও নেই। উল্টো উচ্চরক্তচাপ মেপে নেওয়ার মেশিনটা কোথায় আছে, অল্প বয়সেই শুরু করতে হয় সেই খোঁজ।

হৃদয়ে যাঁদের রোগ আছে, তাঁদের শঙ্কা থাকে হার্ট অ্যাটাকের। কে কত রান করলে কী হবে, কার জয়ে কী ক্ষতি—এসব সমীকরণ মেলাতে মেলাতে পার হয় বহু নির্ঘুম রাত। বিশ্বাস হচ্ছে না? ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনো হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে সার্চ করুন কাল রাতে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের ম্যাচের আগে-পরেও এমন কত অভিজ্ঞতা ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমটিতে।

আফগানিস্তানের ইনিংসের শেষ ওভারে মোহাম্মদ নবী যখন ৫ ছক্কা হাঁকিয়ে দিলেন দুনিত ভেল্লালাগেকে—নবম-দশম শ্রেণির অঙ্কে ফাঁকি দেওয়া ছেলেটাও নিশ্চয়ই বসে গিয়েছিলেন অঙ্ক মেলাতে। এখন যদিও কাজটা সহজ, কোনো এক ব্রাউজারে ক্লিক করলেই ভেসে ওঠে লেখাটা ‘শ্রীলঙ্কা যদি…বাংলাদেশ তাহলে…।’

আরও পড়ুনসুপার ফোরে বাংলাদেশ৮ ঘণ্টা আগে

যদি-কিন্তুর সমীকরণ মেলানো সহজ হয়ে গেলেও ম্যাচের দুশ্চিন্তা কমানোর কোনো অ্যাপ তো আর বের হয়নি। দুনিয়া আধুনিক হয়ে গেছে— কিন্তু বাংলাদেশের সমর্থকদের ম্যাচ জেতানোর রীতি তো রয়ে গেছে সেকেলেই। ‘এই এখান থেকে কিন্তু উঠবে না, উঠলেই আর শ্রীলঙ্কা জিতবে না’—কিছু মুহূর্তের জন্য আবুধাবির প্রেসবক্সের পাশের গ্যালারিতে গিয়েও শোনা গেল তা।

নিজের দলের হলেও তা না হয় মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন কি কাজ বাদ দিয়ে ক্রিকেট ম্যাচ দেখা যায়? বাংলাদেশের সমর্থকদের করতে হয় তাও। কারণ তাঁদের ভাগ্য তো আর নিজেদের হাতে না। এবারের এশিয়া কাপেই দেখুন, দুটো ম্যাচ জিতেও স্বস্তি ছিল না একদমই।

হংকংয়ের বিপক্ষে সহজে জিততে পারেনি লিটন দাসের দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ