নাটোরে ‘বিশ্বাসের তেল-পানি’ নিতে ভিড়, সচেতন হতে বললেন সিভিল সার্জন
Published: 4th, August 2025 GMT
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার চেঁউখালি গ্রামের বায়তুল নুর জামে মসজিদ চত্বরে ‘বিশ্বাসের তেল-পানি’ দেওয়া-নেওয়া চলছে। শুক্রবার এলেই হাজারো মানুষ মসজিদটির পেশ ইমাম জাহিদুল ইসলামের (৩০) ‘ফুঁ’ দেওয়া পানি ও তেল নিতে আসছেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনাও।
এ বিষয়ে নাটোরের সিভিল সার্জন মোহাম্মাদ মুক্তাদির আরেফীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটনাটি আমি শুনেছি। স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠিয়ে আরও নিশ্চিত হতে হবে। এটা যেন কুসংস্কারের পর্যায়ে না যায়। মানুষ যেন প্রতারিত না হন। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
চেঁউখালি গ্রামের অন্তত ১২ জন বাসিন্দা জানিয়েছেন, জাহিদুল ইসলাম অনেক দিন ধরেই সুস্থতার জন্য তেল-পানিতে ‘ফুঁ’ দেন। কারও কারও উপকার হয়েছে, এমন বিশ্বাস থেকে লোকজনের মধ্যে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তিন মাস ধরে প্রতি শুক্রবার সেখানে হাজারো মানুষের ভিড় হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে চেঁউখালি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের প্রবেশমুখে যানজট। শত শত রিকশা, ভ্যান ও অটোরিকশা গ্রামের দিকে যাচ্ছে। মসজিদসংলগ্ন এলাকায় গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষ। সবার হাতেই তেল-পানির কাচের বোতল। তাঁরা চেষ্টা করছিলেন ইমামের সঙ্গে কথা বলতে। চারপাশে চিৎকার-চেঁচামেচি, ঠেলাঠেলি। গরমে কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়েন। ভিড়ের ফাঁকে চুরি হচ্ছিল টাকা–মুঠোফোন। আশপাশে কাচের বোতল, গ্লাস বিক্রির পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ চা, পানি, বিস্কুট বিক্রির দোকান বসেছে।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার চেঁউখালি বায়তুল নুর জামে মসজিদের ইমাম জাহিদুল ইসলাম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
খুনের মামলায় পাঁচ প্রতিবেশীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে এক ব্যক্তিকে খুনের মামলায় তাঁর পাঁচ প্রতিবেশীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ রোজিনা খান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নুরুল আফসার, মোহাম্মদ রফিক, মো. সোলাইমান, আহাম্মদ ও ইলিয়াস। তাঁর চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরি ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে চারজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট আনোয়ারা উপজেলার চাতরি ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুর শুকুরকে বাসা থেকে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। এক দিন পর ২১ আগস্ট চাতরি এলাকায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে মো. মিজান বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এতে বলা হয়, বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালে জাল দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেন শুকুরকে। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত রায় দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাফেজ আহম্মদ আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, খুনের মামলায় আদালত পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আসামিরা সবাই নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী।