সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে অনেক কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ভালো কোনো পদক্ষেপ দেখেন না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অনেক কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এখন নাকি কিছুই (ভালো) দেখেন না। দেখতে হলে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হয়। আর যদি দেখতে না চাই, তাহলে দেখা যাবে না।’

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৯৭০ সালে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করি। অনেকেই আমার ছাত্র। বর্তমান গভর্নরও আমার ছাত্র। আমাদের অনেক ভুল–ত্রুটি আছে। তবে ভালো দিকগুলো উৎসাহিত করলে ভালো লাগে।’

আজ সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপনারা কেবল গ্লাসের খালি অংশটা না দেখে যে অর্ধেকটা ভরা আছে, সেটাও দেখুন। আমরা নাকি ফ্যাসিস্টের পথে চলে যাচ্ছি। সমালোচনা গঠনমূলক হলে ভালো হয়; মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখলে তা আবার ঠিক হয় না। হ্যাঁ, আমাদের ভুল আছে, আমরা সাধু (সেইন্ট) নই।’

চলতি অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমসংক্রান্ত যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেগুলো গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এ সেমিনার আয়োজন করে এনবিআর। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আক্তার মালা।

আবদুর রহমান খান বলেন, ‘মৌলিক নীতি পরিবর্তনের বিষয়গুলো আজ তুলে ধরা হয়েছে। কাস্টমে অনেক ফাঁকি আছে। এসব খতিয়ে দেখা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের অনেক দুর্বলতা আছে। আইন করে রাজস্ব বাড়ানো যাবে না, যদি এসবের বাস্তবায়ন না থাকে।’

কর ফাঁকির উদাহরণ দিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘গতবার সিগারেটে আমরা কর বাড়ালেও রাজস্ব আদায় বাড়েনি। অনেকেই বিদেশি সিগারেট খান। কিন্ত এসব বৈধভাবে আসে না।’

রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘সব সময় বাজেটে এনবিআরকে উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। লক্ষ্যমাত্রা বড় না হলে বেশি দূরে যাওয়া যায় না। এবার আমরা লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ল হউদ দ ন আহম দ আবদ র রহম ন খ ন এনব আর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ