২ দফা দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে জবি শিক্ষার্থীরা
Published: 4th, August 2025 GMT
সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ না থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকারের পরিপন্থী। জকসু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মত প্রকাশ ও নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পাবে, যা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। দাবি পূরণ না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আরো পড়ুন:
আওয়ামী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ছবিসহ তালিকা প্রদর্শন করবে রাবি ছাত্রদল
বেরোবিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “গত বুধবার দুই দিনের আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও প্রশাসন কোনো সাড়া দেয়নি। তারা হয়তো ভাবছে আমরা হাল ছেড়ে দেব। কিন্তু তারা জানে না, ন্যায্য অধিকার আদায়ে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।”
জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিল ইসলাম বলেন, “আমরা যে জুলাইয়ে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন করেছিলাম সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত জন্যই। প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিয়েও বাস্তবায়ন করছে না। এবার যদি তারা আমাদের দাবি না মানে, তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, “সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে, আদৌ এটি বাস্তবায়ন হবে কি না।”
তিনি আরও বলেন, “জকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি প্রশাসনের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে ঈদগাহ মাঠে ‘মেলা’ আয়োজন ঘিরে উত্তেজনা, সংঘর্ষের আশঙ্কা
রূপগঞ্জে ঈদগাহ মাঠে বাণিজ্যিক বিনোদনমূলক মেলা আয়োজনকে কেন্দ্র করে ফুসে উঠেছে স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসী। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা মুসল্লিদের মানববন্ধন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি।
দীর্ঘদিনের ধর্মীয় পবিত্রতার প্রতীক দড়িকান্দি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে গান-বাজনা, আনন্দমেলা আর অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ায় ধর্মপ্রাণ মানুষদের মাঝে নেমে এসেছে চরম ক্ষোভ। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বলছেন এই পবিত্র স্থানে মেলা নয়, যেন চলছে ধর্মের উপর প্রকাশ্য আঘাত।
ঈদগাহের পবিত্রতা রক্ষায় অবিলম্বে মেলা বন্ধ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে শুক্রবার (১ আগস্ট) জুমার নামাজের পর ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেছে শতাধিক মুসল্লি ও স্থানীয় এলাকাবাসি। এসময় দ্রুত মেলা বন্ধের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃক্ষ মেলা নাম দিয়ে প্রচার চালানো হলেও পহেলা আগস্ট মাঠে শুরু হয় তথাকথিত “রূপগঞ্জ কৃষি ও কুটির শিল্প মেলা। অথচ ভিতরে প্রবেশ করলেই দেখা যায় এক ভিন্ন চিত্র না আছে কৃষি, না আছে কুটির শিল্প। চোখে পড়ে বাহারি সাজসজ্জা, বেপরোয়া গান-বাজনা, উচ্ছৃঙ্খল যুবক-যুবতী, প্রেমিক যুগলের অবাধ বিচরণ এবং দোকানপাটে চলছে বাণিজ্যিক বিনোদনের নামে নানা অপকর্ম।
স্থানীয়রা বলেন, এমন পরিবেশ শুধু ঈদগাহের পবিত্রতাকেই অপমান করছে না, বরং ইসলামি সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধকেও চরমভাবে ক্ষুণ্ন করছে।
মেলার প্রতিবাদে মানববন্ধনের আগে এক মুসল্লির জানাজা অনুষ্ঠিত হয় পাশের মাদ্রাসা মাঠে। ঈদগাহ দখল থাকায় মুসল্লিদের স্থান সংকট ও বিশৃঙ্খলার শিকার হতে হয়। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন উপস্থিত জনতা।
অভিযোগ রয়েছে, এই মেলার জন্য কোনো বৈধ অনুমতি নেই। তবুও একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে আয়োজকরা। মেলার পেছনে উপজেলার শ্রমিক দলের আহ্বায়ক কনক ও তার অনুসারীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর আশঙ্কা, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ না করা হলে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠবে। তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, অবিলম্বে মেলা বন্ধ করে মাঠের পবিত্রতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
এই ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মুস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু বলেন, ঈদগাহে মেলার ব্যাপারে কনক নামে এক ব্যক্তি আমার কাছে এসেছিলো । কিন্তু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ঈদগাহ্ মাঠে মেলা হবে শুনে আমি কোন সমর্থন করিনি মেলার সাথে আমি এবং আমার দলের জড়িত না। কেউ যদি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে করে থাকে তাহলে এই বিষয়ে আমার জানা নেই।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, মেলার অনুমতির জন্য আমার কাছে আবেদন নিয়ে আসছিল কনক নামে এক ব্যক্তি।
আমি আবেদনটি জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে মেলা বন্ধের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী ও মুসল্লীরা মানববন্ধন করেছে বলে আমি শুনেছি বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি ।