সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ না থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকারের পরিপন্থী। জকসু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মত প্রকাশ ও নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পাবে, যা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। দাবি পূরণ না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

আরো পড়ুন:

আওয়ামী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ছবিসহ তালিকা প্রদর্শন করবে রাবি ছাত্রদল

বেরোবিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “গত বুধবার দুই দিনের আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও প্রশাসন কোনো সাড়া দেয়নি। তারা হয়তো ভাবছে আমরা হাল ছেড়ে দেব। কিন্তু তারা জানে না, ন্যায্য অধিকার আদায়ে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।”

জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিল ইসলাম বলেন, “আমরা যে জুলাইয়ে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন করেছিলাম সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত জন্যই। প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিয়েও বাস্তবায়ন করছে না। এবার যদি তারা আমাদের দাবি না মানে, তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, “সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে, আদৌ এটি বাস্তবায়ন হবে কি না।”

তিনি আরও বলেন, “জকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি প্রশাসনের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ বিয়ের খবর দিলেন শবনম ফারিয়া

বিয়ে করলেন আলোচিত মডেল ও অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া। আজ শুক্রবার বাদ আসর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ফারিয়া।
শবনম ফারিয়া জানালেন তাঁর পাত্রের নাম তানজিম তৈয়ব, তিনি রাজশাহীর ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস থেকে ফিন্যান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।
বিয়ের পর প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে শবনম ফারিয়া বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে আমার অনুভূতি বরাবরই জটিল—আতঙ্কের চেয়ে কিছু কম নয়। বিবাহবিষয়ক বিভিন্ন জটিল ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর মনে করেছিলাম, এই অধ্যায় হয়তো আমার জীবনে আর আসবে না। তবে সময়ের প্রবাহে এবং পরিবারের আকস্মিক সিদ্ধান্তে এই পরিণয়।
শবনম ফারিয়া জানালেন, ঢাকার অদূরে মাদানী অ্যাভিনিউতে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় নিকট আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
সবশেষে ফারিয়া জানালেন, বিয়ের সিদ্ধান্তটি হঠাৎ হওয়ায় তাঁর একমাত্র ননদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। কারণ, তিনি দেশের বাইরে আছেন। বললেন, ‘তবে ভবিষ্যতে সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে একটি বিয়ে–পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের নতুন যাত্রার জন্য সবার দোয়া ও শুভকামনা প্রত্যাশা করছি।’
প্রসঙ্গত, শবনম ফারিয়া এর আগে ২০১৮ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হারুনুর রশীদ অপুকে, যিনি  তখন একটি বেসরকারি বিপণন সংস্থার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ