এই দশকে লা মাসিয়ার সেরা ছয় ফুটবলার
Published: 5th, August 2025 GMT
ফুটবল ইতিহাসে, কিংবা আসলে খেলাধুলার ইতিহাসেই সবচেয়ে বিখ্যাত একাডেমি কোনটা? উত্তর: সম্ভবত বার্সেলোনার বিখ্যাত লা মাসিয়া একাডেমি। এই একাডেমি থেকে শুধু যুগে যুগে বার্সেলোনার সেরা ফুটবলাররাই উঠে আসেননি, তাঁরা হয়েছেন ফুটবল ইতিহাসেরও অন্যতম সেরা।
এখন পর্যন্ত, লা মাসিয়াই একমাত্র একাডেমি, যেখান থেকে উঠে আসা তিন ফুটবলার একসঙ্গে ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে সেরা তিন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। ২০১০ সালে লা মাসিয়ার ইতিহাসের তিন সেরা লিওনেল মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও জাভি হার্নান্দেজ ছিলেন সেই মঞ্চে। পুরস্কারটা অবশ্য ঘরে তুলেছিলেন মেসি।
২০২০-এর পর বার্সা চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে। সেই অন্ধকার থেকে আবার দলটা আলোর মুখ দেখেছে লা মাসিয়ার ছেলেদের কৃতিত্বেই। নতুন মৌসুমের প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও দেখা যাচ্ছে, নতুন একঝাঁক প্রতিভাবান তরুণ উঠে আসছে একাডেমি থেকে।
চলুন জানা যাক, চলতি দশকের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা এমন ছয় প্রতিভার গল্প।
৬আরও পড়ুনএমি মার্তিনেজের গন্তব্য কোথায়: ইউনাইটেড, পিএসজি নাকি সৌদি আরব০৪ আগস্ট ২০২৫মার্ক কাসাদোমার্ক কাসাদো.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।