ভারতের দক্ষিণী সিনেমার ‘পাওয়ার স্টার’খ্যাত অভিনেতা পবন কল্যাণ। তাকে নিয়ে পরিচালক কৃষ নির্মাণ করেন ‘হরি হারা বীরা মালু’ সিনেমা। বেশ আগে সিনেমাটি মুক্তির কথা ছিল। তবে তা হয়নি। সব জটিলতা কাটিয়ে গত ১৩ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরিকল্পনা করেন নির্মাতারা। তা-ও ঠিক রাখতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
৩০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা) ব্যয়ে নির্মিত হয় ‘হরি হারা বীরা মালু’ সিনেমা। নানা কারণে সিনেমাটির কাজ বিলম্বিত হয়। অতিরিক্ত শুটিং, পোস্ট-প্রোডাকশনে দীর্ঘ সময় ব্যয় হওয়াতে খরচ বেড়ে যায়। কিন্তু সিনেমাটির মূল বাজেট অনেক কম ছিল; যা ক্রমশ বেড়েছে। এটি পবন কল্যাণের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। লোকসান এড়াতে বক্স অফিসে সিনেমাটিকে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করতে হবে, মুক্তির আগেই এই হিসাবও কষে ছিলেন তারা। ফলে চাপে ছিলেন পবন কল্যাণ।
সিনেমাটি নিয়ে চাপে থাকলেও আশাবাদী ছিলেন পবন কল্যাণ থেকে শুরু করে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ তাদের আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে ব্যর্থ হন পবন। বক্স অফিসে ‘ডিজাস্টার’ সিনেমার তকমা পেয়েছে ‘হরি হারা বীরা মালু’ সিনেমা। মোটা অঙ্কের অর্থ লোকসান গুনতে হয়েছে নির্মাতাদের।
আরো পড়ুন:
মুক্তির আগেই রজনীকান্তের সিনেমার আয় ৩৪৬ কোটি টাকা
অশ্লীলতার অভিযোগে জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, বিশাল হাইপ নিয়ে ‘হরি হারা বীরা মালু’ সিনেমা মুক্তি পেলেও, রিভিউ ও দর্শকের প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই দুর্বল। প্রথম দিনের পর থেকেই বক্স অফিস আয় দ্রুত কমতে থাকে। কিছু অঞ্চলে প্রযোজক ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকে টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু অনেক জায়গায় প্রযোজক নিজেই সিনেমাটি মুক্তি দিয়েছিলেন, এতে করে বড় অঙ্কের অর্থ লোকসান হয় তার। সামগ্রিকভাবে সিনেমাটি থিয়েটার ও নন থিয়েটার থেকে প্রায় ১৭৫ কোটি রুপি আয় করে। যার ফলে প্রযোজকের লোকসান হয়েছে ১২৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭৩ কোটি টাকার বেশি)।
বীরা মালুর জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘হরি হারা বীরা মালু’ সিনেমা। মোগল সাম্রাজ্যের পটভূমিতে সাজানো হয়েছে সিনেমাটির কাহিনি। এতে পবনের বিপরীতে ২৮ বছর বয়সি অভিনেত্রী নিধি আগরওয়াল জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। তাছাড়াও অভিনয় করেছেন—ববি দেওল, নার্গিস ফাখরি, নোরা ফাতেহি, সত্যরাজ, সুনীল, যীশু সেনগুপ্ত প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির আস্থায় দুই বেয়াই
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নিতাই রায় চৌধুরী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরো পড়ুন:
বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুই নেতা
পাবনায় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মতবিনিময়
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা-৩ আসনে প্রার্থী হয়েছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। অপরদিকে, মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষে লড়বেন নিতাই রায় চৌধুরী।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ছেলে অমিতাভ রায়ের সঙ্গে নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে নিপুণ রায়ের বিয়ে হয়েছে। তারা সম্পর্কে দুজন বেয়াই।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই লক্ষ্যে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
ঢাকা/রাজীব