আইনজীবী সমিতির নির্বাচন : আদালত দলবদ্ধভাবে ভোট চাইছেন হুমায়ুন-আনোয়ার প্যানেল
Published: 19th, August 2025 GMT
প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। অনেকদিন পরে স্বাধীনভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারায় প্রার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটদানের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ভোটাররাও খুশি। তিনটি প্যানেলের প্রচারণায় সারাক্ষণ মুখর থাকছে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়া।
নির্বাচনী প্রচারণায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বিএনপি সমর্থিত এবং আইনজীবী ফোরাম মনোনীত হুমায়ুন-আনোয়ার প্যানেল। এই প্যানেলের প্রার্থীরা প্রতিটা ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এবং ভোট প্রার্থনা করছেন। দলবদ্ধভাবে মিছিল করেও ভোট চাইছেন তারা।
হুমায়ূন-আনোয়ার প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র সকল আইনজীবীগন। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক এডভোকেট জাকির হোসেনসহ সিনিয়র জুনিয়র সকল আইনজীবী নিয়মিত প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন এবং হুমায়ুন-আনোয়ার প্যানেলের জন্য ভোট প্রার্থনা করছেন।
প্রতিদিনের নিয়মিত প্রচারণার অংশ হিসেবে সোমবার ১৮ আগস্ট দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় মিছিল করে ভোট চেয়েছেন হুমায়ুন-আনোয়ার প্যানেলের প্রার্থীরা এ সময় আদালত পাড়ায় স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন প্যানেলের প্রার্থী এবং ভোটাররা। প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে মিছিলটি আদালত পাড়ায় প্রদক্ষিণ করে।
এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই বিয়ে করেন দুজন ব্যক্তি; কিন্তু একসঙ্গে থাকতে শুরু করার পর সবচেয়ে আপন এই মানুষের সঙ্গেও নানা কারণে তৈরি হয় মতবিরোধ। এক কথা, দুই কথায় বাধে ঝগড়া। বয়োজ্যেষ্ঠদের মতে, স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া আসলে এক জায়গায় রাখা দুটি বাসনের ঠোকাঠুকির মতো। এগুলো জীবনেরই অংশ; কিন্তু এই ঠোকাঠুকি বাড়তে দিলেই বিপত্তি। তাই দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া কমিয়ে আনতে চাইলে প্রথমে মতবিরোধের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বজুড়ে কী কারণে দাম্পত্যে ঝগড়া হয় বেশি, চলুন আগে সেটিই জেনে নেওয়া যাক।
১. বোঝাপড়ার অভাবনাবিলা ও রাফি (ছদ্মনাম) দুজনেই চাকরিজীবী। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে ক্লান্ত নাবিলা আশা করেন, স্বামী তাঁর কাছে জানতে চাইবেন সারা দিন কেমন কাটল। কিন্তু তা না করে চুপচাপ নিজের মনে ফোন স্ক্রল করেন রাফি।
স্বামীর এমন আচরণে কষ্ট পান নাবিলা। অন্যদিকে রাফি ভাবেন, সারা দিন কাজের পর স্ত্রীর হয়তো কথা বলতে ইচ্ছা করছে না, ও একটু নিজের মতো থাকুক। দুজনের চাওয়া ভিন্ন। এভাবে নিজের প্রত্যাশার কথা না জানিয়ে দিনের পর দিন কাটাতে থাকলে মনের ভেতর ক্ষোভ জমা হতে থাকে।
আবার বাসার বাড়তি বিল নিয়ে রাফি যখন চিন্তিত, সেটিকে পাত্তা না দিয়ে হেসে উড়িয়ে দিলেন নাবিলা। এভাবে অপর পক্ষকে কষ্ট দিতে না চেয়েও কষ্ট দিচ্ছেন তাঁরা। দাম্পত্য কলহ নিয়ে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করা মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান জানান, ৬৯ শতাংশ বৈবাহিক দ্বন্দ্বের কারণ পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব।
আরও পড়ুনধনীদের ৮টি অভ্যাস, যা মধ্যবিত্তদের চোখে ধরা পড়ে না১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫২. অর্থনৈতিক হিসাবএকজন বাইরে খেতে ভালোবাসেন, অন্যজন সঞ্চয়ে বিশ্বাসী। আর এতেই বাধে বিপত্তি। এ ছাড়া দুজনেই আয় করলে কে কোন খাতে ব্যয় করবেন, তা নিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য বিচ্ছেদ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।
অভিজ্ঞতার আলোকে এই আইনজীবী বলেন, ‘কেউ নিজের শখ পূরণ করতে গিয়ে অন্যের দিকটা ভাবছেন না, কেউ আবার নিজের ইচ্ছা–অনিচ্ছায় ক্রমাগত ছাড় দিয়েই যাচ্ছেন। সংসারে বারবার একপক্ষীয় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যিনি ছাড় দিচ্ছেন, তাঁর মনে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়, যা একসময় বড় ঝগড়ায় রূপ নেয়।’
এ ছাড়া ছোটখাটো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বলছে, টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়া করা দম্পতিদের ৩০ শতাংশই সম্পর্কে খুশি থাকেন না।
৩. সময় না দেওয়াসঙ্গীকে সময় না দিলে দ্বন্দ্ব বাড়ে