বন্যার সতর্কতা দিয়ে পাকিস্তানের দিকে পানি ছেড়ে দিল ভারত
Published: 27th, August 2025 GMT
ভারী বৃষ্টিপাতের পর কাশ্মীর অঞ্চলের নদীগুলোর উপর নির্মিত প্রধান বাঁধগুলোর সব দরজা খুলে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশী পাকিস্তানকে ভাটির দিকে বন্যার সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করে দেওয়ার পর বাঁধগুলো খুলে দেওয়া হয়েছিল বলে বুধবার একটি ভারতীয় সরকারি সূত্র জানিয়েছে।
পাকিস্তান জানিয়েছে, ইসলামাবাদ সতর্কতা পেয়েছে এবং পরবর্তীতে ভারত থেকে দেশে প্রবাহিত তিনটি নদীতে বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তীব্র মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং বন্যা হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঞ্জাব প্রদেশ ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভারত বাঁধগুলো থেকে যে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিচ্ছে তার সংমিশ্রণের কারণে পাকিস্তান বন্যার ‘অতিরিক্ত উচ্চ’ ঝুঁকির সম্মুখীন। পাকিস্তানি পাঞ্জাব দেশের খাদ্যের ঝুড়ি হিসেবে কাজ করে এবং এর ২৪ কোটি মানুষের অর্ধেকের আবাসস্থল।
একটি ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রায় দুই লাখ কিউসেক পানি ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক কিউসেক হল প্রতি সেকেন্ডে এক ঘনফুট বা ২৮ ঘন লিটারের সমান আয়তন। ভারতের পানি ছাড়ার ঘটনাটি একবারের জন্য হবে নাকি পর্যায়ক্রমে করা হবে তা স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছিলেন, ভারত আগামী দিনে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে পানি ছাড়বে। নয়াদিল্লি রবিবার থেকে দুটি পূর্ববর্তী বন্যার সতর্কতা জারি করেছে।
বেশ কয়েকটি নদী ভারত হয়ে পাকিস্তানের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে। এর ফলে ভারত নিয়মিতভাবে তার বাঁধগুলো অতিরিক্ত পূর্ণ হয়ে গেলে পানি ছেড়ে দেয়। এই অতিরিক্ত পানি পাকিস্তানে প্রবাহিত হয়।
বুধবার পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ পাঞ্জাব প্রদেশের প্লাবিত এলাকা থেকে মানুষদের উদ্ধারে এবং ত্রাণ ও সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার জন্য সেনাবাহিনীকে তলব করেছে। শুক্রবার বন্যার কারণে পাকিস্তান বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে।
বন্যার কারণে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জুনের শেষের দিকে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা এখন ৮০২ জনে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র সতর ক বন য র
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।