রিটেক সমস্যা সমাধানে যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ
Published: 27th, August 2025 GMT
রিটেক পদ্ধতি, বর্ষ উন্নয়ন ও পরীক্ষার ফলাফল সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমস্যাগুলোর সমাধানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসলেও সমাধান না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান না পেলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা চলছে: আব্দুল কাদের
২ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিনেন্স অনুযায়ী ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী যদি কোনো কোর্সের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়, তবে সে একবারই রিটেক পরিক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে। যদি কোনো শিক্ষার্থী এই রিটেক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়, তবে তাকে প্রতি কোর্সের জন্য ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে স্পেশাল রিটেক দিতে হবে। স্পেশাল রিটেকে অকৃতকার্য হলে বর্ষ উন্নয়নের সুযোগ পাবে না ওই শিক্ষার্থী।
এদিকে, অন্যান্য ব্যাচগুলো ৩-৪ বার রিটেক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। পরবর্তী ব্যাচগুলোর সঙ্গেও ২০২২-২৩ সেশনের নম্বর বণ্টনে কোনো মিল নেই এবং রিটেক পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ কর্তনের সিস্টেমও অন্য ব্যাচগুলোর তুলনায় ভিন্ন। ফলে কেউ কোনো কারণে পরীক্ষায় অনুপস্থিত হলে, তার একাডেমিক ফলাফল ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) এ বিষয়ে সমাধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি- অবিলম্বে রিটেক সমস্যার স্থায়ী সমাধান, শিক্ষার্থীদের বর্ষ উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সেশনজট তৈরি হচ্ছে তার স্পষ্ট ও কার্যকর নীতিমালা প্রকাশ এবং অযৌক্তিক বিলম্ব ও প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হচ্ছে, তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মাশফি চৌধুরী অরিন বলেন, “২০২২-২৩ সেশনের রিটেক পরীক্ষার সমস্যার সমাধানে প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে আমাদের মূল্যবান সময়, ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছি এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।”
তিনি বলেন, “রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে অন্য সমস্যার সমাধান হলেও কেনো এ সমস্যা সমাধান হচ্ছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি—শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে আর কোনো গড়িমসি মেনে নেওয়া হবে না। দ্রুত সমাধান না হলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ র ট ক পর ক ষ ব শ বব দ য সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হচ্ছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত। এ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ১৩ নভেম্বর থেকে। গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন যেসব শিক্ষার্থী
২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ভর্তির জন্য। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এ-লেভেল, ও-লেভেল ও বিদেশি সনদধারীদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মে সরাসরি ডিন অফিসে বা ই–মেইলে আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
যেসব শিক্ষার্থী গত দুই শিক্ষাবর্ষে (২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪) স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল বা স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেয়েছেন, তাঁরা এই শিক্ষাবর্ষে নতুন করে ভর্তি হতে পারবেন না। তবে পূর্ববর্তী ভর্তি বাতিল করে নতুন শিক্ষাবর্ষে আবেদন করতে পারবেন। একই সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থী দ্বৈত ভর্তি হলে তাঁর উভয় ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে।
আবেদন ফি ৪০০ টাকা
ভর্তি ফি হিসেবে প্রাথমিক আবেদন ফি ৪০০ টাকা, যার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ২৫০ টাকা এবং কলেজের অংশ ১৫০ টাকা। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন ফি ৭২০ টাকা জমা দিতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে অনলাইনে নিশ্চয়ন করবে। তবে নিশ্চয়ন ছাড়া কোনো আবেদনকারীকে মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। আবেদন ফি ১৯ অক্টোবরের মধ্য জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা৪ ঘণ্টা আগেআবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে কোর্সভিত্তিক মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে। একই মেধা নম্বরপ্রাপ্ত হলে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ (৪০: ৬০ অনুপাতে) এবং প্রয়োজনে মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এরপরও সমতা থাকলে বয়স কম শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রম ধাপে ধাপে প্রথম মেধাতালিকা, দ্বিতীয় মেধাতালিকা, কোটার মেধাতালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তবে এবারও তৃতীয় রিলিজ স্লিপে আবেদন করার সুযোগ থাকবে না।
বিস্তারিত দেখুন এখানে
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সুযোগ পাবেন ৪৮ জেলার যুবরা১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুন১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫