অনির্বাচিত সরকারের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না: আমীর খসরু
Published: 29th, August 2025 GMT
বর্তমান সরকারের কাছে কোনো প্রত্যাশ নেই জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “আমি অনির্বাচিত সরকারের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমার কোনো প্রত্যাশা নেই। এটা একটি সাময়িক সরকার। আমরা অপেক্ষা করছি নির্বাচিত সরকারের জন্য।”
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম আয়োজিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
রাজনগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের একাংশের বাধায় কর্মিসভা পণ্ড
হাসিনার কাছে কখনো মাথা নত করিনি: এ্যানি
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছেন। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন হবে এবং বাংলাদেশের মানুষ তাদের মনের কথা বলতে পারবেন। জনগণ তাদের প্রতিনিধি ও সরকার নির্বাচিত করতে পারবেন নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।”
তিনি বলেন, “অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়ন করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতিটি বিভাগে আমরা যাচ্ছি। অর্থনীতি আগে কিছু সীমিত লোক ও গোষ্ঠীর হাতে ছিল।
আমরা অর্থনীতিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। কুটির শিল্পসহ যারা বিভিন্ন অঞ্চলে হাতে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছেন, সেই পণ্যগুলো আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে। এগুলো মূল্যায়ন করে টেকনিক্যাল সহযোগিতা দিতে হবে, আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে। এদের ব্র্যান্ডিং করতে হবে, ব্র্যান্ডিং করে দেশে-বিদেশে আন্তর্জাতিক বাজারে প্লাটফর্ম করে দিতে হবে। যাতে লোকগুলোই যেন আরো বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “একটি গ্রামে একটা পণ্য তৈরি হবে। যে পণ্য ওই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে। পণ্যের নতুন নতুন ডিজাইন হবে এবং সেই পণ্য দেশে ও দেশের বাহিরে বিক্রি হবে। গ্রামগুলো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে এটাই আমাদের মূল প্রোগ্রাম। এজন্য আমরা সব জায়গায় যাচ্ছি, সবার সঙ্গে কথা বলছি। তাদের সমস্যা ও চাহিদা আগামী দিনে কীভাবে পূরণ করতে পারি তাও দেখছি।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলাল, জহির উদ্দিন স্বপন, ড.
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব শেখ আবদুর রহিম, বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান রাজন, শারমিন বিনতে সিদ্দিকীসহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ী নেতারা।
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব