MRT-2 (মেট্রোরেল) প্রকল্পে না’গঞ্জকে যুক্ত করার দাবিতে মানবন্ধন
Published: 7th, September 2025 GMT
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-২ প্রকল্পে রাজধানীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করার দাবিতে ‘ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ’ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবন্ধন থেকে প্রধান উপদেষ্টা ভবন ঘেড়াও , হরতাল ও লংমার্চ করার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা ।
বোরবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সামনে ‘ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ’ ব্যানারে বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের অংশগ্রহণে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধন থেকে এমআরটি লাইন -২ এর দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্যে রাখেন।
এসময় উপস্থিত ‘ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ’ এর সমন্বয়ক ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, মহনগর সদস্য সচিব এড.
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহানগর কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি নাজমুল কবির নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক শওকত খন্দকার, বন্দর থানা যুবদল নেতা আমীর হোসেন, জুয়েল রানা প্রমুখ।
এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, জনপ্রতিনিধিরা দেশের স্বার্থ চিন্তা না করে লুটপাটে মগ্ন ছিল। তার প্রেক্ষিতে ঢাকার আশে-পাশের ৫ থেকে ৬টি জেলা সংযুক্ত হলেও পাশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা হওয়া সত্ত্বেও সবসময় আমরা বঞ্চিত হয়েছি।
বঞ্চনার দিন শেষ আগামীর বাংলাদেশে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আমাদের সকলের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জকে এমআরটি লাইন-২ প্রকল্পে যুক্ত করতে হবে। এটি রাজনৈতিক দলের দাবি নয়, এটি নারায়ণগঞ্জবাসীর দাবি।’
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন (২৩) ও তাঁর মা তাহমিনা বেগম (৫২) হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পৃথক তিনটি স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।
আজ সোমবার বেলা একটার দিকে কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন তাঁরা। এরপর বেলা তিনটার দিকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
নিহতের সহপাঠী নূর মোহাম্মদ সোহান বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী ও তাঁর মায়ের হত্যাকারী একজন ধর্ষক। আমাদের বোনের ওপর সে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও তার মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি। ঘটনার শুরু থেকেই পুলিশের গাফিলতি আমরা লক্ষ করেছি।’
আরেক সহপাঠী মুনিয়া আফরোজ বলেন, ‘আমাদের বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, যা লাশ উদ্ধারের সাত দিন পর জানা গেল। পুলিশ তদন্তে অবহেলা করেছে। আমাদের দাবি, এক সপ্তাহের মধ্যে এই জোড়া খুনের পেছনে আরও বড় কোনো শক্তি আছে কি না, তা সুষ্ঠু তদন্ত করে উন্মোচন করতে হবে। মামলা বিশেষ আদালতে হস্তান্তর করতে হবে। ধর্ষকের সুষ্ঠু বিচার ও ফাঁসি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
সাইফুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী সুমাইয়া ও তাঁর মায়ের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড কে, তা বের করতে হবে পুলিশকে। এর পেছনে সুমাইয়ার পরিবারের কেউ জড়িত আছে কি না, সেটিও তদন্ত করতে হবে।’
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রথমে পুলিশ বলেছিল, সুমাইয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় এবং তা দেখে ফেলার কারণে তাঁর মাকে হত্যা করা হয়। পরে জানা যায়, কবিরাজ মোবারক হোসেন সুমাইয়াকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছেন। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশে গড়িমসি হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশ ও মামলাটি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ‘স্মারকলিপিটি পেয়েছি। রাষ্ট্রের কাজ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিষয়টি আমরা দেখব।’
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান জানান, ‘আমরা তদন্ত করছি। আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লা নগরের কালিয়াজুরি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে নিহত তাহমিনা বেগম সুজানগর এলাকার প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্ত্রী। তাঁর মেয়ে সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় তাঁরা বাসায় একা ছিলেন। ৭ সেপ্টেম্বর রাতে তাহমিনা বেগমের দুই ছেলে বাসায় ফিরে হত্যার বিষয়টি টের পান। পরদিন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন তাহমিনা বেগমের বড় ছেলে মো. তাজুল ইসলাম। সেদিনই পুলিশ কবিরাজ মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করে। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং ওই দিন রাতেই তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হন।