কারণ ছাড়াই বাড়ছে ৪ কোম্পানির শেয়ারদর
Published: 8th, September 2025 GMT
কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা কারণ ছাড়াই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এমন তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ।
কোম্পানিগুলো হলো- প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ই-জেনারেশন লিমিটেড, মিরাকল ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড ও দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
আরো পড়ুন:
টোটালগ্যাসকে কিনে নিচ্ছে ওমেরা পেট্রোলিয়াম
ওয়ালটনের ১৭৫% ক্যাশ ও ১০% স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, গত রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কোম্পানি চারটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানি চারটির কর্তৃপক্ষ ডিএসইকে জানিয়েছে, কোনো প্রকার অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে।
প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গত ১৭ আগস্ট শেয়ার দর ছিল ১৩২.
ই-জেনারেশনের গত ১৭ আগস্ট শেয়ার দর ছিল ২১ টাকায়। আর গত ৭ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকায়। অর্থাৎ ১৫ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১০ টাকা বা ৪৮ শতাংশ।
মিরাকল ইন্ড্রাস্ট্রিজের গত ১৭ আগস্ট শেয়ার দর ছিল ২৭.৬ টাকায়। আর গত ৭ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৪.৪ টাকায়। অর্থাৎ ১৫ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৬.৮ টাকা বা ২৫ শতাংশ।
দুলামিয়া কটনের গত ১৩ আগস্ট শেয়ার দর ছিল ৯৪.৩ টাকায়। আর গত ৭ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৩৬.৩ টাকায়। অর্থাৎ ১৬ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪২ টাকা বা ৪৫ শতাংশ।
এভাবে কোম্পানিটিগুলোর শেয়ারের দাম দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগস ট শ য় র দর ছ ল অর থ ৎ ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।