কুবি শিক্ষার্থী ও তার মা নিহতের ঘটনায় মামলা
Published: 8th, September 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমের নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টায় কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতা জানালেন যবিপ্রবির স্নাতক পাস শিক্ষার্থীরা
ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ, স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে নিহত তাহমিনা বেগমের ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম আলামিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে আসামিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বাদী আলামিন বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেডে কর্মরত।
এ নিয়ে ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, আজ দুপুরে মামলাটি করা হয়েছে। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামীকাল থেকেই তদন্ত শুরু হবে। তদন্তের স্বার্থে এখন আর কিছু বলা যাচ্ছে না।
মা-মেয়ে ‘হত্যাকাণ্ডে’র ঘটনায় ইতোমধ্যে মুঠোফোনে সর্বশেষ যোগাযোগের সূত্র ধরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা থেকে আব্দুর রব (৭৩) নামক এক কবিরাজকে আটক করেছে র্যাব।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।