ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে প্রজেকশন মিটিংয়ের আবেদন না করেই হল প্রশাসন অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শামীম হোসেন।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন শামীম হোসেন।

আরো পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচনে দুই হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে: ডিএমপি কমিশনার

ডাকসু নির্বাচন: সাইবার হামলার অভিযোগ ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীদের

শামীম হোসেন তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, “মৈত্রী হলে আমরা আবেদন করেও হল থেকে অনুমোদন পাইনি। ফলে যেতে পারিনি। আপুদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”

এতে গত ৫ সেপ্টেম্বরের তারিখ সংবলিত কুয়েত মৈত্রী হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদনপত্রের ছবি যুক্ত করেন তিনি।

হল প্রশাসন জানিয়েছে, প্রজেকশন মিটিংয়ের জন্য তাদের পক্ষ থেকে কোনো আবেদনই জমা দেওয়া হয়নি। আবেদন জমা পড়লে বাকিদের মতো শামীম হোসেনকেও সুযোগ দেওয়া হত। তবে আবেদন না করেই মিথ্যা অভিযোগে হতভম্ব হল প্রশাসন।

এ বিষয়ে হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

মাহবুবা সুলতানা বলেন, “যিনি এমন অভিযোগ করছেন, আমরা উনার আবেদনটা হল অফিসে পাইনি। উনার আবেদনটা হল অফিসেই পৌঁছায়নি। আমার হল অফিসের কেউই উনার আবেদন রিসিভ করেনি এবং এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্যই নেই।”

তিনি আরো বলেন, “হল অফিসে উনার আবেদন জমা পড়লে নিশ্চয়ই সবার মত উনিও প্রজেকশন মিটিং করতে পারতেন। এমনও হয়েছে- একই দিনে দুইজনকেও প্রজেকশন মিটিংয়ের অনুমতি দিয়েছি।”

তিনি সাংবাদিকদের হল অফিসে সরাসরি গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে দেখে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে শামিমের মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ