বন্দরে আতঙ্কের নাম মিনি তেলের পাম্প
Published: 11th, September 2025 GMT
বন্দরে ছোট ছোট দোকানে কিংবা আবাসিক ভবনের নিচে ফিলিং স্টেশনের মতো খোলা বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে চোরাইকৃত ডিজেল, পেট্রল, অকটেন।
অথচ এগুলোর নেই কোনো ডিলারশিপ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। জ্বালানি তেল বিক্রির এ ব্যবস্থা পরিচিতি পেয়েছে 'মিনি তেল পাম্প' নামে। এসব পাম্পে অবৈধ উপায়ে চোরাই ও ভেজাল তেল যেমন সরবরাহ হচ্ছে তেমনি তৈরি হয়েছে নিরাপত্তাঝুঁকিও।
বন্দর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের পাশে ও আবাসিক এলাকায় জ্বালানি তেল বিক্রির এ ধরনের অন্তত ২৫টি মিনি তেলের দোকান গড়ে উঠেছে। আরও কয়েকটি দোকানে মেশিন বসিয়ে চালুর অপেক্ষায়।
অথচ পেট্রোলিয়াম সংক্রান্ত আইন অনুসারে জ্বালানি তেল পেট্রোল ডিজেলের ব্যবসার জন্য বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পূর্ব অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তার কারণে ২০১৫ সাল থেকে খোলাবাজারে জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞাও আরোপ রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা বাজার, কল্যান্দী বাসস্ট্যান্ড, বন্দর রেললাইন, নবীগঞ্জ, ধামগড় বাজার, গোকুলদাসেরবাগ, ফুলহর, মদনপুর, দেওয়ানবাগসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকার সামনে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলেছে মিনি তেলর পাম্প। কিছু কিছু স্থানে ডিসপেন্সার মেশিন বসিয়ে খেয়াল খুশি মত ডিজেল, পেট্রল, অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে।
একই অবস্থা দেখা গেছে মদনপুর, দেওয়ানবাগ ও ফুলহর বাজারেও। এসব মিনি পাম্পের সামনে তেলের ব্যারেল স্তুপ করে রাখতে দেখা গেছে। এ উপজেলায় এ ধরনের মিনি পাম্প হয়েছে কয়েক বছর আগে। প্রথম দিকে দু একটা থাকলেও নিয়মনীতি বালাই না থাকায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তেল পাম্প গড়ে উঠছে।
তবে বিস্ফোরক পরিদপ্তর, দপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সমকালকে নিশ্চিত করেছে এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় তেল বিক্রির কোনো অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরে অবৈধ এক তেল দোকানী জানায়, বিস্ফোরক অধিদপ্তরে আবেদন করেছি কিন্তু অনুমোদন এখনো পাইনি। ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তেল বিক্রির অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।
এলাকাবাসী জানায়, এসব মিনি তেলের দোকান গুলোতে মাঝে মধ্যেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, মিনি তেল দোকান স্থাপনে আমাদের দপ্তর থেকে কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি। এসব পাম্পগুলো পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন