২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

গকসুর ভিপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাবিপ্রবিতে শিবিরের মিটিং

প্রথমে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুলের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়। তারপর কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থী তাদের অনূভুতি প্রকাশ করেন। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে রাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি মনির হোসেন মাহিনের সভাপতিত্বে কলা অনুষদের সাবেক ডিন ও প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ফজলুল হক এবং জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো.

আখতার হোসেন মজুমদার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বকুল, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জুবায়ের জামিল বক্তব্য দেন।

জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “সাংবাদিকতা করতে হবে সাংবাদিকতার নৈতিকতা মেনে। অনেকসময় রিপোর্টাররা নিজেরা রিপোর্ট না করে প্রেস রিলিজের জন্য বসে থাকে, এমনটা না করে সব সাংবাদিকদের উচিত নিজেদের থেকে সঠিক নিউজ করা।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বকুল বলেন, “বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতা অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে যেভাবে অনলাইন এ অপতথ্য ছড়ায়, সেখানে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়ে গেছে।”

নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “তোমরা জাতির আলোকবর্তিকা, সবচেয়ে প্রতিভাবান শিক্ষার্থী। জীবনকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সংকল্প নিয়েই এগোতে হবে সামনে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তোমরা।”

অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা ঠিক রেখে সাংবাদিকতা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল হক। নবীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সাংবাদিকতায় আমরা কখনোই হলুদ সাংবাদিকতার আশ্রয় নেব না। সবসময় সৎ পথেই থাকার চেষ্টা করব। আমাদের যে মেধা রয়েছে, সেটাকে সঠিক জায়গায় কাজে লাগাতে হবে। সাংবাদিকতা এখন সব বিভাগেই আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে—এটি অত্যন্ত ভালো এবং লক্ষণীয় বিষয়। সাংবাদিকতা মূলত সত্যের অনুসন্ধান; সেটি কার বিপক্ষে গেল, তা দেখার সুযোগ নেই। সবসময় সত্যকে লেখা ও প্রকাশ করার মানসিকতা থাকতে হবে।”

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন মিশনের সঞ্চালনায় এতে ক্লাবের সহ-সভাপতি আশিকুল ইসলাম ধ্রুব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের জিসান, কোষাধ্যক্ষ মিরাজ আফ্রিদি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এম শামীম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সালেহ শোয়েব, দপ্তর সম্পাদক ফাহমিদুর রহমান ফাহিম এবং কার্যনির্বাহী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নব ন শ ক ষ র থ দ র ব দ কত

এছাড়াও পড়ুন:

বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...

গল্প যখন জাহাজের রহস্যময় খুন, তখন সবার আগে মাথায় আসে ১৯৭৮ সালের ‘ডেথ অন দ্য নাইল’-এর কথা। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য লাস্ট অব শিলা’ সিনেমাটিও এগিয়ে থাকবে এদিক দিয়ে।
তবে রুথ ওয়ারের উপন্যাসভক্তদের জন্য নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি হতে পারত এমনই এক অভিজ্ঞতা। রুথের উপন্যাস ‘দ্য ওমেন ইন কেবিন ১০’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেটফ্লিক্সে এসেছে একই নামের নতুন সিনেমা। তবে সাইমন স্টোন পরিচালিত সিনেমাটির শুরুটা আশা জাগানিয়া হলেও শেষপর্যন্ত রোমাঞ্চ ধরে রাখতে পারেনি।

একনজরে সিনেমা: ‘দ্য ওমেন ইন কেবিন ১০’ স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স ধরন: ড্রামা, ক্রাইম থ্রিলার রানটাইম: ১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট পরিচালক: সাইমন স্টোন অভিনয় : কিরা নাইটলি, গাই পিয়ার্স, ডেভিড আজালা, গিটে উইট, আর্ট মালিক, হান্নাহ ওয়াডিংহাম, কায়া স্কোডেলারিও

লন্ডনের এক খ্যাতিমান অনুসন্ধানী সাংবাদিক লরা ব্ল্যাকলক (কিরা নাইটলি)। তিনি একটি হাইপ্রোফাইল অ্যাসাইনমেন্টের কাজ করছিলেন। কিন্তু তাঁর সোর্সকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জন্য তিনি কাজে ফিরে এসেও ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি হঠাৎই তিন দিনের সমুদ্রযাত্রার আমন্ত্রণ পান। নরওয়েজীয় এক বিলিয়নিয়ার দম্পতি অ্যান লিংস্টাড (লিসা লোভেন কংসলি) ও তাঁর স্বামী রিচার্ডের (গাই পিয়ার্স) দাতব্য সংস্থার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কাভার করার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। কাজ ও ছুটি কাটানোর এমন দারুণ সুযোগ লুফে নেন লরা।

‘দ্য ওমেন ইন কেবিন ১০’ –এর দৃশ্য। নেটফ্লিক্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ