Prothomalo:
2025-11-03@07:34:47 GMT

আকাশে দুই উড়ন্ত গাড়ির সংঘর্ষ

Published: 18th, September 2025 GMT

গন্তব্য নির্বাচন করলেই যাত্রীদের নিয়ে উড়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিতে পারে উড়ন্ত গাড়ি। হেলিকপ্টারের আদলে খাড়াভাবে ওঠানামাও করতে পারে। ফলে রানওয়ের বদলে শহরের যেকোনো স্থানে যাত্রী ওঠানামা করা যায়। বাণিজ্যিকভাবে বাজারে না এলেও এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের তৈরি উড়ন্ত গাড়ির পরীক্ষা করে সফল হয়েছে। তবে সম্প্রতি চীনের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় শহর চ্যাংশুনে এয়ার শোর মহড়ায় মাঝ–আকাশে দুটি উড়ন্ত গাড়ি বা ফ্লাইং কারের সংঘর্ষ হয়েছে। চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা এক্সপেংয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সপেং অ্যারোএইচটির তৈরি গাড়িগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উড়ন্ত গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

এক্সপেং অ্যারোএইচটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মহড়ার সময় দুটি উড়ন্ত গাড়ি একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এর মধ্যে একটি অবতরণের সময় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা সবাই নিরাপদে আছেন। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মীর বরাতে জানিয়েছে, এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।

চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি গাড়ি মাটিতে পড়ে জ্বলছে এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এক্সপেং অ্যারোএইচটি জানিয়েছে, গাড়িটির ফিউজলাজে (গায়ের কাঠামোতে) গুরুতর ক্ষতি হয়ে আগুন ধরে যায়। তবে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জরুরি ব্যবস্থা নেয়।

অ্যারোএইচটির তৈরি বৈদ্যুতিক উড়ন্ত গাড়িগুলো উল্লম্বভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণে করতে পারে। প্রতিটি গাড়ির সম্ভাব্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় তিন লাখ ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক্সপেং অ্যারোএইচটি জানিয়েছিল, ইতিমধ্যে তিন হাজার উড়ন্ত গাড়ির ফরমাশ পাওয়া গেছে।

গত বছর ইউরোপের একটি উড়ন্ত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কিনেছে এক্সপেং অ্যারোএইচটি। এর মাধ্যমে ইউরোপের বাজারেও ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো উড়ন্ত গাড়ির বাজারেও নেতৃত্ব নিতে চায় চীন।

সূত্র: বিবিসি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উড়ন ত গ ড় র অ য র এইচট

এছাড়াও পড়ুন:

অনিরাপদ ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে সতর্ক করবে গুগল ক্রোম

ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে গুগল। ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকে প্রকাশিতব্য ক্রোম ব্রাউজারের ১৫৪তম সংস্করণে ডিফল্টভাবে সব ওয়েবসাইট নিরাপদ এইচটিটিপিএস (হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল সিকিউর) সংযোগে লোড হবে। কোনো ওয়েবসাইট যদি এখনো অনিরাপদ এইচটিটিপি (হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল) প্রোটোকলে চলে, তবে সেই সাইটে প্রবেশের আগে ব্যবহারকারীর অনুমতি চাইবে ক্রোম।

গুগল ২০২১ সালে ‘এইচটিটিপিএস ফার্স্ট মোড’ চালু করে। ওই সুবিধা চালু থাকলে ব্যবহারকারীরা চাইলে ব্রাউজারে ‘অলওয়েজ ইউজ সিকিউর কানেকশনস’ অপশনটি সক্রিয় করতে পারতেন। এতে ক্রোম প্রথমে নিরাপদ সংযোগে সাইটে প্রবেশের চেষ্টা করে। সংযোগ না পাওয়া গেলে সতর্কবার্তা দেখায়। এবার গুগল ফিচারটি ডিফল্টভাবে সক্রিয় করতে যাচ্ছে, যাতে ব্যবহারকারীরা অনিরাপদ সংযোগে কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করেন এবং মাঝপথে কেউ ডেটা চুরি বা বিকৃত করতে না পারে।

গুগলের ক্রোম নিরাপত্তা দল এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে ক্রোম ১৫৪ সংস্করণ প্রকাশের সময় থেকে ডিফল্টভাবে অলওয়েজ ইউজ সিকিউর কানেকশনস চালু করা হবে। এর ফলে কোনো ওয়েবসাইটে নিরাপদ সংযোগ না থাকলে প্রথমবার প্রবেশের আগে ক্রোম ব্যবহারকারীর অনুমতি চাইবে। গুগল আরও জানিয়েছে, অনিরাপদ সংযোগের সুযোগ নিয়ে আক্রমণকারীরা ব্রাউজারের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং ব্যবহারকারীর অজান্তে ক্ষতিকর কনটেন্ট, ম্যালওয়্যার বা বিভ্রান্তিকর তথ্য পাঠাতে পারে। এতে তথ্য চুরি বা সামাজিক প্রকৌশলভিত্তিক আক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

তবে ক্রোম একই ওয়েবসাইটে বারবার সতর্কবার্তা দেখাবে না। কোনো অনিরাপদ সাইট নিয়মিত ব্যবহার করলে সেই সাইটে আর সতর্কতা দেখানো হবে না। নতুন বা খুব কম দেখা ওয়েবসাইটে ঢোকার সময়ই কেবল সতর্কবার্তা দেখানো হবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে শুধু পাবলিক ওয়েবসাইটের জন্য এই সতর্কতা চালু রাখতে পারবেন অথবা পাবলিক ও ব্যক্তিগত দুই ধরনের সাইটের জন্যই সেটিংটি সক্রিয় করতে পারবেন। যদিও ব্যক্তিগত বা অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যেও কিছু ঝুঁকি থাকে, তবু সেগুলো সাধারণত পাবলিক সাইটের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, এসব সাইট সাধারণত গৃহস্থালি ওয়াই–ফাই বা কোনো প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কে সীমাবদ্ধ থাকে, যেখানে বাইরের আক্রমণের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম।

গুগল জানিয়েছে, এই পরিবর্তনে ব্যবহারকারীদের ঘন ঘন সতর্কবার্তা দেখার আশঙ্কা নেই। বর্তমানে ইন্টারনেটে ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ ওয়েবসাইট ইতিমধ্যে নিরাপদ এইচটিটিপিএস প্রোটোকল ব্যবহার করছে, যেখানে ২০১৫ সালে এই হার ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশ।

সব ব্যবহারকারীর জন্য সুবিধাটি চালুর আগে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিতব্য ক্রোমের ১৪৭তম সংস্করণে ‘এনহান্সড সেফ ব্রাউজিং’ সুবিধা ব্যবহারকারী এক শ কোটি মানুষের জন্য প্রকাশ্য ওয়েবসাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘অলওয়েজ ইউজ সিকিউর কানেকশনস’ চালু করা হবে। গুগল বলেছে, ‘আমরা আশা করছি, এই পরিবর্তন অধিকাংশ ব্যবহারকারীর জন্য নির্বিঘ্ন হবে। তবে কেউ চাইলে ব্রাউজারের সেটিং থেকে “অলওয়েজ ইউজ সিকিউর কানেকশনস” বন্ধ করতে পারবেন। ওয়েব ডেভেলপার বা তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীদের এখনই এই ফিচারটি সক্রিয় করে রাখা উচিত, যাতে আগেভাগেই অনিরাপদ ওয়েবসাইট শনাক্ত করা যায়।’

ইন্টারনেট নিরাপত্তা বাড়াতে গুগল আগেও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ক্রোমে ‘এইচটিটিপিএস আপগ্রেড’ নামের ফিচার যোগ করা হয়, যা ওয়েবপেজের অভ্যন্তরীণ এইচটিটিপি লিংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপদ সংযোগে রূপান্তর করে।

সূত্র: ব্লিপিংকম্পিউটার ডটকম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনিরাপদ ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে সতর্ক করবে গুগল ক্রোম
  • সাগরে এক ট্রলারে ৪০ লাখ টাকার ইলিশ