রাশফোর্ডের জোড়া গোলে বার্সেলোনার জয়
Published: 19th, September 2025 GMT
মার্কাস রাশফোর্ড যেন মনে করিয়ে দিলেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাকে হারিয়ে কত বড় শূন্যতায় পড়েছে। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে নিউক্যাসলের মাঠে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার দুর্দান্ত জোড়া গোলেই বার্সেলোনা পেল ২-১ গোলের জয়।
২৭ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড, যিনি ধারে খেলছেন বার্সায়, এর আগে ২০২৩ সালের কারাবাও কাপ ফাইনালে নিউক্যাসলের বিপক্ষেই গোল করেছিলেন ইউনাইটেডের জার্সিতে। এবার সেন্ট জেমস পার্কে ৫৮ মিনিটে মাথার চমৎকার শটে প্রথম গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। এরপরই দূরপাল্লার এক দুরন্ত শটে দ্বিতীয় গোল করে বসেন ইংল্যান্ড কোচ টমাস টুখেলের চোখের সামনেই।
আরো পড়ুন:
বার্সেলোনার হোঁচট: ভায়োকানোর বিপক্ষে জয় হাতছাড়া
৯ জনের মায়োর্কাকে হারিয়েও অসন্তুষ্ট বার্সা কোচ ফ্লিক
তবে ম্যাচে নিউক্যাসলও সুযোগ পেয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরা অ্যান্থনি গর্ডন ও হার্ভি বার্নস বিরতির আগে গোল করতে পারলে গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাশফোর্ডের ম্যাজিকেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
১৯৯৭ সালের বার্সেলোনার বিরুদ্ধে নিউক্যাসলের ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় জয়ের এবার আর পুনরাবৃত্তি হলো না। গর্ডন শেষ মুহূর্তে এক গোল করলেও ইউরোপের সেরা মঞ্চে কীভাবে কঠিন শিক্ষা নিতে হয়, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল কাতালানরা।
ম্যাচের শুরুটা ছিল দুরন্ত। দর্শকে ভরা স্টেডিয়ামে গর্জন উঠল বারবার। ছয় মিনিটে অ্যান্থনি এলাঙ্গার ক্রস থেকে একেবারে সামনে বল পেয়েও মিস করেন গর্ডন। অন্যদিকে বার্নসও সুযোগ নষ্ট করেন।
বার্সা অবশ্য সতর্কবার্তা দিয়েছিল প্রথমার্ধেই। কিয়েরান ট্রিপিয়ারকে কাটিয়ে একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে গিয়ে শট নেন রাশফোর্ড, যদিও সেটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ধীরে ধীরে মাঝমাঠে পেদ্রি আর ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং খেলা দখলে নিলে বার্সেলোনাও আক্রমণে ধার পায়।
১৮ মিনিটে রাফিনহার ক্রসে লেভানডোভস্কি শট নিতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু নিউক্যাসল গোলরক্ষক নিক পোপ কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন। উল্টো দিকে জোয়ান গার্সিয়াকেও রক্ষা করতে হয় বার্সাকে, যখন বার্নসের শট ঠেকান তিনি।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য কাটলেও বিরতির পরই ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ে। ৪৮ মিনিটে এলাঙ্গার কর্নার থেকে জোয়েলিন্তন হেডে গোল করতে পারতেন। কিন্তু অল্পের জন্য মিস হয়। কিছুক্ষণ পর রাশফোর্ডের শটও শরীরে লেগে প্রতিহত হয়।
অবশেষে ৫৮ মিনিটে কুন্দের দারুণ ক্রস থেকে হেডে গোল করে জাল ভেদ করেন রাশফোর্ড। এরপর মাত্র নয় মিনিট পর তার অসাধারণ দূরপাল্লার শটে জালের জড়ালে বার্সার লিড দ্বিগুণ হয়।
শেষ দিকে নিউক্যাসল মরিয়া হয়ে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গার্সিয়া একবার গুইমারাইশের শট রুখলেও শেষ মিনিটে গর্ডনের গোলে ব্যবধান কমে যায়। তবে ততক্ষণে জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে বার্সেলোনার।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
কমনওয়েলথ ছাত্র সংসদের ভিপি প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির রিফাদ
কমনওয়েলথ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিএসএ)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পার্টিসিপেশন) পদে নির্বাচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ রিফাদ মাহমুদ। ভোটে ভারত, ঘানা, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের জন্য গর্ব বয়ে আনা রিফাদ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে ১০টি নেতৃত্বস্থানীয় পদে ভোটগ্রহণ হয়। যেখানে প্রতিটি দেশের একজন প্রতিনিধি ভোট দেন। বাংলাদেশসহ কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের প্রায় ১৪০ কোটি শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব এখন রিফাদের কাঁধে। এই জয় কেবল রিফাদ নয়; বাংলাদেশের তরুণ সমাজের অনন্য অর্জন।
কমনওয়েলভুক্ত দেশগুলোর তরুণদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম yourcommonwealth.org-এ রিফাদ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘রিফাদ বাংলাদেশের একজন তরুণ নেতা, সামাজ পরিবর্তনের কর্মী, আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেট। ব্যক্তিগত সংগ্রাম থেকে বৈশ্বিক প্রভাব পর্যন্ত উঠে আসার এই যাত্রায় দৃঢ়তা, সহমর্মিতা এবং লক্ষ্যভিত্তিক নেতৃত্বের অনন্য উদাহরণ।’
বর্তমানে সিএসেএর-এর শিক্ষা সম্পর্ক কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ শাখার যুব পরামর্শক দলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিগগিরই নতুন নেতৃত্ব বুঝে নেবেন।
রিফাদ নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘সব শিক্ষার্থী সমান সুযোগ পায় না। অনেককেই নানা চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে আসতে হয়। এর মধ্যে আর্থিক সংকট বড় চ্যালেঞ্জে। যার কারণে বিশ্বে অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হিমশিম খায়। এদের পাশে দাঁড়ানো বাকি শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব। আমি এমন একটা কর্মসূচি নিতে চাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা পকেট মানি ও টিফিনের টাকা সঞ্চয় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে এখান থেকে এমন একটা তহবিল তৈরি করা যাবে, যেটি আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীর কাজে আসবে। অর্থের অভাবে কেউ যেন লেখাপড়ায় পিছিয়ে না যায়।’’
লন্ডনে অবস্থিত ব্রিটিশ কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের অধীন শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থা সিএসএ। রিফাদ দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আলাদা করে নজর কেড়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুব প্যানেলে ‘ইইউ ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফান্ড’ পর্যবেক্ষণেও কাজ করছেন। এর আগে গ্লোবাল স্টুডেন্ট ফোরামের উপদেষ্টা পর্ষদে এবং ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম-এর যুব পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে রিফাদ আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারে জন্য মনোনীত হন। একই বছর গ্লোবাল ইয়ুথ লিডার সম্মাননা অর্জন করেন।
ঢাকা/এস