2025-11-03@11:02:34 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10

«ইসর য় ল র হয়»:

    ‘মারিয়া কোরিনা মাচাদো শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন’—এ শিরোনাম প্রথম যখন দেখলাম, তখন খুশি হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি; কারণ, এতে খুশির কিছু নেই। যাঁর রাজনীতি অগণিত মানুষের জীবনে অনন্ত দুর্ভোগ এনেছে, সেই ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা নিছক ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়। মাচাদো আসলে কিসের প্রতীক, তা যাঁরা বোঝেন, তাঁরা জানেন, তাঁর রাজনীতির সঙ্গে ‘শান্তি’ শব্দটির কোনো সম্পর্কই নেই। যদি ২০২৫ সালের ‘শান্তি’ বলতে এটাই বোঝানো হয়, তাহলে বলা যেতে পারে, নোবেল পুরস্কার তার সব বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।আমি ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী একজন আমেরিকান। আমি খুব ভালো জানি মাচাদো কিসের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি হলেন ওয়াশিংটনের রেজিম চেঞ্জ যন্ত্রের (কোনো দেশের এক সরকারকে ফেলে দিয়ে অন্য সরকারকে বসানোর ব্যবস্থা) হাস্যোজ্জ্বল মুখ। তিনি হলেন নিষেধাজ্ঞা, বেসরকারীকরণ ও বিদেশি হস্তক্ষেপকে ‘গণতন্ত্র’ নামে সাজিয়ে তোলার এক সুশীল কণ্ঠস্বর। মাচাদোর...
    গাজার শিশু আমির। সামান্য একটু ত্রাণ পাওয়ার আশায় খালি লম্বা পথ হেঁটে এসেছিল সে। ত্রাণ পাওয়ার কয়েক মিনিট পরই ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয় শিশুটি। মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষ শাখার সাবেক এক কর্মকর্তার বর্ণনায় গাজার এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এই কর্মকর্তা গত মাসে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) থেকে পদত্যাগ করেন। অ্যান্টনি আগুইলার গত সোমবার ‘আনঅ্যাক্সেপ্টেবল’ পডকাস্টে বলেন, গত ২৮ মে দক্ষিণ গাজায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি নিজ চোখে শিশু আমিরসহ অসংখ্য মানুষকে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হতে দেখেছেন। আগুইলার বলেন, ‘ছোট্ট আমির খালি পায়ে একটি ছেঁড়া জামা পরে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। তাঁর হাড্ডিসার শরীরে থাকা ছেঁড়া-ফাটা কাপড় যেন ঝুলে ঝুলে পড়ে যাচ্ছিল। সে ১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে সেখানে (ত্রাণ...
    গাজায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের সাবেক এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, তিনি একাধিকবার এসব কেন্দ্রে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাতে দেখেছেন। ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মীরা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর মেশিনগানসহ বিভিন্ন অস্ত্র থেকে গুলি চালিয়েছেন।বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) সাবেক এ কর্মী আরও বলেন, একবার নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের একটি দল ত্রাণকেন্দ্র থেকে সরতে দেরি করছিল দেখে এক নিরাপত্তাকর্মী একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে মেশিনগান দিয়ে গুলি চালিয়েছিলেন।তবে জিএইচএফ দাবি করেছে, এসব অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা।এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, তাদের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে কখনো কোনো বেসামরিক মানুষকে গুলি করা হয়নি।জিএইচএফ গত মে মাসের শেষ দিকে গাজায় তাদের কার্যক্রম শুরু করে। দক্ষিণ ও মধ্য গাজার কয়েকটি কেন্দ্র থেকে সীমিত পরিমাণে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এর আগে ইসরায়েল টানা ১১ সপ্তাহ গাজা পুরোপুরি অবরোধ করে...
    গত বছরের শরৎ। ডোনাল্ড ট্রাম্প তখনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেননি। আর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও তখন কূটনৈতিক সমাধানের উদ্যোগ নেননি তিনি।অথচ তখনই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলকে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। ইসরায়েলের বর্তমান ও সাবেক একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।ইসরায়েলের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা আরও জানান, গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে। ইরানের প্রধান মিত্র লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দুর্বল করে। পরে নেতানিয়াহু সামগ্রিকভাবে ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন।আরও পড়ুনট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা: কত ঘণ্টায় কীভাবে কার্যকর হবে ১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গোপন বৈঠক করেন। তাঁরা ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানী ও সামরিক নেতাদের একটি তালিকা তৈরি করতে থাকেন, যাঁদের ভবিষ্যতে হত্যার লক্ষ্যে নিশানা করা হতে পারে।একই সময়ে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী নিয়মিতভাবে লেবানন, সিরিয়া ও ইরাকের আকাশ...
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলের অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এটাকে ‌‘অবিশ্বাস্য’ বলে অভিহিত করেছেন। ইসরায়েলের দক্ষিণে ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, ‘প্রায় প্রতিদিন’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। খবর-বিবিসি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি মনে করি তার দৃঢ় সংকল্প, দৃঢ়চিত্ত ও স্পষ্টতা- যখন তিনি বলেন যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না এবং ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না। তিনি তাদের আলোচনার মাধ্যমে এটি (ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করা) করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তারা তার সঙ্গে ছলনা করলো, আপনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এটা করতে পারেন না।’ সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়। কিন্তু তারা ইতোমধ্যেই অনেক সাহায্য...
    ইসরায়েলের বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ড নিয়ে আবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট। সিএনএনকে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তিনি আর খণ্ডন করতে পারছেন না।ওলমার্ট, বিশেষ করে গাজার ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ ১১ সপ্তাহের অবরোধ ও সেখানে হামলা জোরালো করা নিয়ে কথা বলেছেন। এ অবরোধের মধ্যে গাজায় কোনো ধরনের ত্রাণ ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েল। ফলে সেখানে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। উপরন্তু, হামলা জোরদার করায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে সেখানে।গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিগত হত্যা ও নিধনের যে অভিযোগ উঠেছে, বিদেশিদের কাছে এত দিন তা খণ্ডন করে আসছিলেন ওলমার্ট।সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওলমার্ট উল্টো প্রশ্ন তোলেন, ‘এটা যদি যুদ্ধাপরাধ না হয়, তবে কী?’ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর সরকারের চরম...
    ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার জেরে ইসরায়েলের সঙ্গে গত মঙ্গলবার মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে তারা। এর এক দিন আগেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স।গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের কারণে ওই পদক্ষেপ নেয় যুক্তরাজ্য।যুক্তরাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পর্যালোচনা করার পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মঙ্গলবার ইইউয়ের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কাজা কালাস বলেছেন, ইসরায়েল ও ইইউর মধ্যে একটি বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি পর্যালোচনার পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাঁরা।যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েল কতটা বাণিজ্য করে২০২২ সালের জুলাই মাসে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করে ইসরায়েল ও যুক্তরাজ্য। এর লক্ষ্য ছিল—দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে বহাল থাকা বাণিজ্য চুক্তিগুলোর আওতায় যেসব খাত পড়ে না, ওই...
    গাজার আলোকচিত্রী ফাতিমা হাসৌনা জানতেন, মৃত্যু তার দুয়ারে কড়া নাড়ছে। যুদ্ধের ভয়াবহতা, ইসরায়েলের হামলায় নিজের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়া, বারবার ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া, আর পরিবারের ১১ সদস্যকে হারানোর মতো কঠিন সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তিনি গেছেন। ১৮ মাস ধরে ইসরায়েলের চালানো অনেক নির্মমতা সহ্য করেছেন ক্যামেরাবন্দি। এ ভয়াবহ বাস্তবতার মাঝেও ফাতিমার একটাই চাওয়া ছিল– তার মৃত্যু যেন নৈঃশব্দে না হয়; তিনি যেনো নীরবে চলে না যান। পৃথিবী জানুক তিনি চলে গেছেন। গাজার ফাতিমারা এখন নতুন জীবনের স্বপ্ন না দেখে এভাবেই অনাগত নির্মম মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। ইসরায়েলের অবিরাম বোমা হামলার মধ্যে তাদের এখন তেমন কোনো প্রত্যাশা নেই। সহায়-সম্বল, স্বজন হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোফাইলে ফাতিমা লিখেন, ‘আমি মরলে, আমার সেই মৃত্যু যেন গর্জে ওঠে। আমি যেন শুধু...
    গাজার আলোকচিত্রী ফাতিমা হাসৌনা জানতেন, মৃত্যু তার দুয়ারে কড়া নাড়ছে। যুদ্ধের ভয়াবহতা, ইসরায়েলের হামলায় নিজের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়া, বারবার ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া, আর পরিবারের ১১ সদস্যকে হারানোর মতো কঠিন সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তিনি গেছেন। ১৮ মাস ধরে ইসরায়েলের চালানো অনেক নির্মমতা সহ্য করেছেন ক্যামেরাবন্দি। এ ভয়াবহ বাস্তবতার মাঝেও ফাতিমার একটাই চাওয়া ছিল– তার মৃত্যু যেন নৈঃশব্দে না হয়; তিনি যেনো নীরবে চলে না যান। পৃথিবী জানুক তিনি চলে গেছেন। গাজার ফাতিমারা এখন নতুন জীবনের স্বপ্ন না দেখে এভাবেই অনাগত নির্মম মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। ইসরায়েলের অবিরাম বোমা হামলার মধ্যে তাদের এখন তেমন কোনো প্রত্যাশা নেই। সহায়-সম্বল, স্বজন হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোফাইলে ফাতিমা লিখেন, ‘আমি মরলে, আমার সেই মৃত্যু যেন গর্জে ওঠে। আমি যেন শুধু...
    গাজার আলোকচিত্রী ফাতিমা হাসৌনা জানতেন, মৃত্যু তার দুয়ারে কড়া নাড়ছে। যুদ্ধের ভয়াবহতা, ইসরায়েলের হামলায় নিজের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়া, বারবার ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া, আর পরিবারের ১১ সদস্যকে হারানোর মতো কঠিন সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তিনি গেছেন। ১৮ মাস ধরে ইসরায়েলের চালানো অনেক নির্মমতা সহ্য করেছেন ক্যামেরাবন্দি। এ ভয়াবহ বাস্তবতার মাঝেও ফাতিমার একটাই চাওয়া ছিল– তার মৃত্যু যেন নৈঃশব্দে না হয়; তিনি যেনো নীরবে চলে না যান। পৃথিবী জানুক তিনি চলে গেছেন। গাজার ফাতিমারা এখন নতুন জীবনের স্বপ্ন না দেখে এভাবেই অনাগত নির্মম মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। ইসরায়েলের অবিরাম বোমা হামলার মধ্যে তাদের এখন তেমন কোনো প্রত্যাশা নেই। সহায়-সম্বল, স্বজন হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোফাইলে ফাতিমা লিখেন, ‘আমি মরলে, আমার সেই মৃত্যু যেন গর্জে ওঠে। আমি যেন শুধু...
۱