দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
Published: 11th, January 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে দেশটির অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে আজ শনিবার হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা না–করা নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে।
গত ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইওল। এ কারণে পরবর্তী সময়ে তিনি পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন। অভিশংসিত হলেও তিনি এখনো সিউলে দেশটির প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় বাসভবনে অবস্থান করছেন।
গতকাল শুক্রবার থেকে তদন্ত কর্মকর্তারা ইওলকে গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বাসভবনের সামনে সমর্থকদের অবস্থান ও নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এটা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ রাজধানী সিউলে ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করছেন।
আজ সিউলে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে চলে গেছে। তীব্র শীত ও তুষারপাত উপেক্ষা করে রাজধানীর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান সড়কগুলোয় ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে হাজারো মানুষ জড়ো হচ্ছেন। এক পক্ষ তাঁর গ্রেপ্তার দাবি করছে। অন্য পক্ষ তাঁকে অভিশংসিত করা অবৈধ ঘোষণার দাবি করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ সালের হজের রোডম্যাপ ঘোষণা, ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন
২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব সরকার। আগামী বছর হজে অংশ নিতে আগ্রহী বাংলাদেশি যাত্রীদের চলতি বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এর পর ৯ নভেম্বর সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় হজচুক্তি সই হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের এই রোডম্যাপ হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), হজ এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ১৫ জুন পাঠানো হয়েছে। এর আগে ৮ জুন রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১০ জুলাই হজ কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার। ২৬ জুলাই থেকে ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্যাম্প-সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ ও অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। ৯ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চলতি হজ মৌসুমের ব্যবহৃত ক্যাম্পগুলো আগামী হজ মৌসুমের জন্য পুনর্ব্যবহারের সুযোগ থাকবে।
প্যাকেজ, আবাসন, পরিবহন চুক্তি, এয়ারলাইন্স নির্ধারণসহ ফ্লাইট সূচি চূড়ান্ত করতে হবে ২৪ আগস্টের মধ্যে। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের তথ্য নুসুক মাসারে আপলোড এবং গ্রুপ গঠন শুরু করতে হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁবু ভাড়া ও মাশায়ের প্যাকেজ বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে হবে। আগামী বছরের ৪ জানুয়ারির মধ্যে সেবা সংস্থার সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি এবং ফ্লাইট সূচি নির্ধারণ করতে হবে। ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে মক্কা-মদিনার হোটেল ও পরিবহন-সংক্রান্ত অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া, যা চূড়ান্ত করতে হবে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়া শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রা শুরু হবে ১৮ এপ্রিল।
২০২৬ সালের হজে সর্বোচ্চ দুটি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করার সুযোগ থাকবে। সব ধরনের চুক্তি এবং অর্থ প্রদান ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে। এর বাইরে কোনো অর্থ দেওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। কোরবানির অর্থও এই প্ল্যাটফর্মে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া হজযাত্রীদের খাবার-সংক্রান্ত চুক্তি করতে হবে সৌদি ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে। তাঁবু, সেবা প্যাকেজ এবং পরিবহন খরচ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মেডিকেল ফিটনেস (শারীরিক সুস্থতা) ছাড়া কেউ হজে অংশ নিতে পারবেন না। হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা, লিভার সিরোসিস, নিউরোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যা, কেমোথেরাপি/রেডিওথেরাপি নেওয়া ক্যান্সার রোগী এবং ঝুঁকিপূর্ণ অন্তঃসত্ত্বা নারীরা হজ নিবন্ধনের অযোগ্য বিবেচিত হবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।