দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
Published: 11th, January 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে দেশটির অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে আজ শনিবার হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা না–করা নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে।
গত ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইওল। এ কারণে পরবর্তী সময়ে তিনি পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন। অভিশংসিত হলেও তিনি এখনো সিউলে দেশটির প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় বাসভবনে অবস্থান করছেন।
গতকাল শুক্রবার থেকে তদন্ত কর্মকর্তারা ইওলকে গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বাসভবনের সামনে সমর্থকদের অবস্থান ও নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এটা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ রাজধানী সিউলে ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করছেন।
আজ সিউলে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে চলে গেছে। তীব্র শীত ও তুষারপাত উপেক্ষা করে রাজধানীর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান সড়কগুলোয় ইওলের পক্ষে-বিপক্ষে হাজারো মানুষ জড়ো হচ্ছেন। এক পক্ষ তাঁর গ্রেপ্তার দাবি করছে। অন্য পক্ষ তাঁকে অভিশংসিত করা অবৈধ ঘোষণার দাবি করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীরে হামলার জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কখন, কোথায়, কীভাবে হামলা চালানো হবে তা ঠিক করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজ বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান-সহ তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানেই মোদি স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে, যখন খুশি, যেখানে খুশি পেহেলগামে হামলার বদলা নিতে পারে ভারতীয় সেনা, বিমান ও নৌ-বাহিনী। কীভাবে হামলা চালানো হবে, কীভাবে পরিকল্পনা করা হবে- সে সব সিদ্ধান্তও স্বাধীনভাবেই নেবে এই তিন বাহিনী।
যেমনভাবে মনে হবে, সেরকমভাবেই অভিযান চালানোর জন্য তাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তিন বাহিনীর ওপরই পূর্ণ আস্থা রেখেছেন তিনি।
ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশকুমার ত্রিপাঠীর সামনেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে, কীভাবে সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে, লক্ষ্যবস্তু কী হবে এবং কখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।
বৈঠক চলে মোট ৯০ মিনিট। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত সপ্তাহেই পাকিস্তানকে ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। একই সুর ছিল প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠেও।
সেই আবহেই ভারতে একের পর এক জরুরি বৈঠক চলছে। যার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠক হয়।
এর ঠিক এক সপ্তাহ আগের মঙ্গলবারেই জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তাদের অধিকাংশই পর্যটক ছিলেন।
পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকেই কূটনৈতিক দিক থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত।
বন্ধ করা হয়েছে সিন্ধু পানিচুক্তি। নেওয়া হয়েছে আরও একাধিক পদক্ষেপ। জঙ্গি-নিধন অভিযানও চালাচ্ছে ভারত। পেহেলগামে হামলায় যে জঙ্গিরা জড়িত আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে, তাদেরকে এখনও ধরা না গেলেও সন্ত্রাসবাদী নিধন অভিযান চলছে। খুঁজে-খুঁজে বের করা হচ্ছে জঙ্গিদের। খবর এনডিটিভি