রংপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধে নেসকো ঘেরাও
Published: 13th, January 2025 GMT
রংপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে গতকাল রোববার নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসির (নেসকো) প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করেন গ্রাহকরা। এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোসহ নিরাপত্তার স্বার্থে প্রধান ফটক বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে দুপুরে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে মানববন্ধন করে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক ফোরাম। মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা খামার মোড়ে নেসকো কার্যালয় ঘেরাও করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জনস্বার্থকে উপেক্ষা করে হয়রানিমূলক প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে স্থাপন করা প্রিপেইড মিটার খুলে নিয়ে আগের মিটার স্থাপনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নিম্নমানের প্রিপেইড মিটার কেনার নামে ২৬ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সেই নিম্নমানের মিটার এখন জনগণকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জনস্বার্থ উপেক্ষা করে মিটার স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি মাসে অবৈধভাবে ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করছে নেসকো। এই মিটার স্থাপন করা হলে গ্রাহকদের অতিরিক্ত চার্জ পরিশোধসহ হয়রানির শিকার হতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ গ্রাহক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, মির্জা বাবর বাবলু, সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, লিখন চৌধুরী, মনির হোসেন মিন্টু প্রমুখ।
এর আগে একই দাবিতে ৯ জানুয়ারি পাঁচ দফা ঘোষণা, ২৬ ডিসেম্বর পৃথক মানববন্ধন ও ১৭ ডিসেম্বর স্মারকলিপি দেন গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম হোসেন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রের সামনে পাহাড় রক্ষা পরিবেশ, উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পাহাড় রক্ষা পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সেলিম আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হামিদা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নিছসা সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান বক্ত, পরিবেশকর্মী সাজু আহমেদ, শাহারা ইসলাম রুহিন, শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া, ছাত্রনেতা লিটন গাজী, মিনহাজুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল মতিন, মিসবাউর রহমান, আদিবাসী নেতা সুচিনগুল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন। ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেতন হয়নি সরকার। বিষয়টি আমলে নেয়নি কোম্পানি।