মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কাচিনের স্বর্ণখনি এলাকার একটি বাজারে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় ১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাজ্যটির সশস্ত্র জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) মুখপাত্র কর্নেল নাও বু এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাটি তানাইং শহরের একটি স্বর্ণখনি এলাকায় ঘটেছে। নিহতরা সকলেই বেসামরিক লোক, যাদের মধ্যে স্বর্ণখনি শ্রমিক এবং স্থানীয় দোকানদাররাও রয়েছেন।

আরো পড়ুন:

প্রায় ৬ হাজার বন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে মিয়ানমার

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, যেখানে হামলা হয়েছে, সেখানে একটি বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।

খ্রিস্টান অধ্যুষিত কাচিন রাজ্যের বড় অংশই এখন কেআইএর নিয়ন্ত্রণে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রত্নপাথরের খনি রয়েছে সেখানে।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর অন্যান্য রাজ্যের মতো কাচিনেও জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই শুরু হয়।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ

ইরানের রাজধানী তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের সংবাদ সংস্থা ফার্সের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া তেহরানের পূর্বাঞ্চলেও বিস্ফোরণের খবর প্রকাশ করেছে ইরানি গণমাধ্যম।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের কিছু অংশে হামলার হুমকি দিয়েছিল। এরপরই এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের একটি বিস্তৃত এলাকার মানুষকে ‘অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে যেতে’ সতর্ক করে।

বিবিসি জানায়, আইডিএফের মুখপাত্র আভিচাই আদরায়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আগামী ঘণ্টাগুলোতে আমরা তেহরানের এই এলাকায় অভিযান চালাব—যেমন আগের দিনগুলোতেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ইরানের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হবে।

পোস্টের সঙ্গে একটি মানচিত্র যুক্ত করে ইসরায়েল জানায়, তেহরানের তৃতীয় জেলায় বসবাসকারীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ‘আপনার এই এলাকায় অবস্থান আপনার জীবনের জন্য হুমকি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ