এইচএসসিতে মাদারীপুর জেলায় প্রথম মাইমুনা
Published: 20th, October 2025 GMT
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মাদারীপুর জেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন মাইমুনা তাবাসসুম (অর্পা)।
মাদারীপুর সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এ মেধাবী শিক্ষার্থী গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ১১৯০।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন
শেকৃবিতে ৭ দিন ধরে ক্যান্টিন বন্ধ, বিপাকে শিক্ষার্থীরা
মাইমুনা তাবাসসুম মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামের বাসিন্দা মো.
ব্যবসায়ী বাবা কন্যা মাইমুনা তাবাসসুম অর্পা এর আগে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় মাদারীপুর ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে ১২৪৩ নম্বর অর্জন করে জেলার মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ধারাবাহিক এই সাফল্য তার অধ্যবসায়, মেধা ও দায়িত্ববোধের উজ্জ্বল প্রমাণ রেখেছে।
ভবিষ্যতে তিনি একজন চিকিৎসক হয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান বলে জানিয়েছেন।
মাইমুনার কলেজ শিক্ষক মো.আসাদুজ্জামান বলেন, “অর্পার এই কৃতিত্ব কলেজের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। তার নিষ্ঠা ও অধ্যবসায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।”
মাদারীপুর সরকারি কলেজ ও ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও অর্পাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভকামনা জানানো হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষকরা বলেন, অর্পার ধারাবাহিক সাফল্য জেলার শিক্ষার্থীদের নতুন করে অনুপ্রাণিত করবে।
ঢাকা/বেলাল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এইচএসস ফল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
উপজেলায় এইচএসসিতে একমাত্র জিপিএ-৫ পেলেন অনুরাগ
এসএসসি পাস করার পর বাড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন অনুরাগ চন্দ্র। তার মধ্যে ছিল সফল হওয়ার প্রবল আগ্রহ। সেটি তিনি প্রমাণ করেছেন এবারের এইচএসসি পরীক্ষায়। মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার চারটি কলেজের মধ্যে একমাত্র শিক্ষার্থী হিসেবে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।
অনুরাগের এমন রেজাল্টে খুশি পরিবারের প্রতিটি সদস্য। তারা আশা করছেন, অধ্যাবসায় আর মনযোগ অনুরাগকে সফলতার শিখরে পৌঁছে দেবে।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ার সাইফুল মাশরুম চাষে সফল, দিয়েছেন ৫০০ জনকে প্রশিক্ষণ
শিশুদের ‘নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত কিশোরগঞ্জের মাহবুব
অনুরাগ রাজনগর উপজেলার রাজনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় এই কলেজ থেকে অংশগ্রহণ করেন ৪৮৬ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছেন ১৯৪ জন। পাসের হার ৩৯.৯২ শতাংশ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার চারটি কলেজের মোট এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭৮১ জন। পাস করেছেন ২২৭ জন। পাসের হার ২৯.০৭ শতাংশ। অনুরাগই এবার এই উপজেলা থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া একমাত্র শিক্ষার্থী।
অনুরাগ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈইল ইউনিয়নের মাসকান্দি গ্রামের বাসিন্দা অভিকুমার চন্দ্রের ছেলে। তার মা সদর উপজেলার পরিবার কল্যাণ সহকারী।
অনুরাগ স্থানীয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। এসএসসি পাস করার পর তিনি রাজনগর সরকারি কলেজে পড়ালেখার সুযোগ পান।
সোমবার (২০ অক্টোবর) গ্রামের বাড়িতে গেলে কথা হয় অনুরাগের সঙ্গে। তিনি বলেন, “২০২৩ সালে এসএসসি পাস করি। এরপর ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই রাজনগর সরকারি কলেজে। বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে কলেজটির অবস্থান। আমি নিয়মিত কলেজে গিয়ে ক্লাস করতে পারিনি।”
তিনি বলেন, “আমি কলেজ শিক্ষকদের তেমন সহযোগিতা পাইনি। নিজ উদ্যোগে প্রাইভেট পড়ে এবং মা-বাবার উৎসাহ আমাকে রেজাল্ট ভালো করতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।”
অনুরাগ বলেন, “সামনে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবো এমনটি আশা করছি। একজন ভালো ডাক্তার হওয়া আমার স্বপ্ন।”
অনুরাগের বাবা অভি কুমার চন্দ্র বলেন, “অনুরাগ খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করছে। সে প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করেনি। লেখাপড়াতে তার আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। আমি তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি। যখন যা লাগে তার যোগান দিয়েছি। ছেলের অধ্যাবসায় আর কষ্টে এমন সফলতা এসেছে। আমি তার জন্য অনেক প্রার্থনা করি। অধ্যাবসায় আর মনযোগ তাকে সফলতার শিখরে পৌঁছে দেবে এমনটি আশা করছি।”
রাজনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ তামান্না বেগম বলেন, “সদ্য জাতীয়করণ হওয়ায় আমাদের কলেজে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, শিক্ষার্থীদের ভালো পাঠদান নিশ্চিতের। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে অনেক কিছু করতে পারিনি। অনুরাগ জিপিএ-৫ পেয়ে আমাদের কলেজের সম্মান রক্ষা করেছেন। শুধু তাই না, তিনি রাজনগর উপজেলার সম্মান রেখেছেন।”
রাজনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলম বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের দায়িত্ব আমাদের ওপর নয়। আমরা শুধু মনিটরিং করি। এর মূেল দায়িত্বে রয়েছেন ডিডি মহোদয়। এবার এই উপজেলার ফলাফল ভালো হয়নি।”