দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবদলকর্মী পলাতক
Published: 13th, January 2025 GMT
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় দুই কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে দিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন নুরপুর গ্রামের সেবাখোলা বাজার স’মিলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার চারদিন পর রোববার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। তারা জানিয়েছে, মো. মহসিন নামে ইউনিয়ন যুবদলের এক কর্মীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের ধর্ষণ করে।
মহসিন নুরপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। ভুক্তভোগী কিশোরীদের মধ্যে একজনের বাড়ি চাঁদপুরে, আরেকজনের লক্ষ্মীপুরে। তারা কাজের সূত্রে কুমিল্লা শহরে থাকে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, তারা একটি অটোরিকশায় বাঙ্গড্ডা থেকে কুমিল্লা শহরের দিকে যাচ্ছিল। পথে মহিসন ও সেবাখোলা বাজার স’মিলের মালিক খোকন মিয়া তাদেরকে অটোরিকশায় জিম্মি করে বিভিন্ন সড়কে ঘুরতে থাকে। পরিস্থিতি টের পেয়ে দুই কিশোরী নেমে যেতে চায়। এ সময় তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে দু’জনকে স’মিলে নিয়ে যায় তারা। সেখানে আরও ১০ জন আসে। তারা দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাদের ওপর নির্যাতন চলানো হয়। পুরোটা সময় সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন স’ মিলের মালিক খোকন। তাদেরকে যে অটোরিকশায় ঘটনাস্থলে আনা হয়েছিল, সেই গাড়িতেই বিকেলে তুলে দিয়ে সোজা বাড়ি যেতে বলে তারা। সেই সঙ্গে কাউকে কিছু জানালো ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হুমকি দেয়।
দুই কিশোরী বলেন, ‘দু’জন আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে। সবার মুখ দেখলেই আমরা চিনতে পারব।’
এলাকাবাসী জানান, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মহসিন ও খোকনকে গ্রামে দেখা যাচ্ছে না।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে খোকন বলেন, ‘জোরপূর্বক আমার স’মিলে দুই মেয়ে ঢোকে যুবদল নেতা মহসিন। তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন ছিল। আমি কিছু করিনি।’ মহসিন নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তার বাবা রঞ্জু মিয়া।
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, মহসিন যুবদল করে, তবে কোনো কমিটিতে পদ নেই। আমি ঘটনাটি শুনেছি। কেউ যদি দলের নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্ম করে, আমরা তার দায়ভার নেব না।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক জানান, দুই কিশোরী কুমিল্লা শহরে চাকরি করে। বৃহস্পতিবার তারা বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নে একজনের সঙ্গে করতে এসেছিল। ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে বলে তারা জানিয়েছে। দুই কিশোরী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আমরা তাদের কাছে ঘটনা জানতে চাচ্ছি। বিস্তারিত পরে বলব। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স ক্যাথলিক গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কোনো একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিজের এ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
জেডি ভ্যান্স বলেন, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি মূল বক্তব্য থেকে কেটে নেওয়া একটি অংশ। কোন প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখানো হয়নি।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র একটি অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।জবাব দিতে এক্স পোস্টে ভ্যান্স বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে তাঁকে তাঁর আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যেত চাননি, উত্তর দিয়েছেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘প্রথমেই বলি, প্রশ্নটি আসে আমার বাঁ পাশে থাকা একজনের কাছ থেকে, আমার আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে। আমি একজন পাবলিক ফিগার, লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং আমি প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না।’
এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স