কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় দুই নারীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. মহসিন যুবদল নেতা নয় বলে দাবি করছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদল।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে যুবদলের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার উদ্যোগে নগরীর ধর্মসাগর পাড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু।

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব বলেন, ‘‘অভিযুক্ত নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের মো.

মহসিন বিগত ৫ আগস্টের আগে স্থানীয় বাড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা সাইফুল ইসলামের অনুসারী ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী, আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। মিডিয়ায় তাকে যুবদল নেতা বলা একেবারে দুঃখজনক। যা সঠিক নয়।’’ তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

আরো পড়ুন:

শিশু নাবিলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড 

কুমিল্লায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে ২ নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ 

তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে নাঙ্গলকোটের বাড্ডা ইউনিয়নের যুবদলের কোনো কমিটি নেই, তাহলে তিনি যুবদলের নেতা হলেন কীভাবে? এটি আমরা সবার কাছে প্রশ্ন রাখলাম। একটি পক্ষ যুবদলের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে ধর্ষণকারী যে হোক না কেন, তিনি একজন অপরাধী, তার বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ধর্ষণকারী কখনো কোনো দলের হতে পারে না।’’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান, মো. শাহ আলম, সাইফুল ইসলাম, মাসুদ হাসান টিপু, তুষার পাল, কামাল হোসেন, সোহেক রানাসহ প্রমুখ

আরো পড়ুন: কুমিল্লায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে ২ নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ 

নাঙ্গলকোটে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সেবাখোলা নামক স্থানে স মিলে দুই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে ধর্ষিতা এক নারী বাদী হয়ে সাতজনের নামে এবং অজ্ঞাত ২-৩ জনের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কবির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। 

ঢাকা/রুবেল/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ য বদল ন ত ন ঙ গলক ট য বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।

এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।

প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”

আরো পড়ুন:

জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!

অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?

ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”

‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”

গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ