বিকশিত অভিজাততন্ত্র গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে: বাইডেন
Published: 16th, January 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার বিদায়ী ভাষণে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে চরম সম্পদ, ক্ষমতা ও প্রভাবের অভিজাততন্ত্র বিকশিত হচ্ছে, যা আক্ষরিক অর্থে দেশের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিন আগে বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে এই ভাষণ দেন বাইডেন।
বাইডেন বলেছেন, “আজ, আমেরিকায় চরম সম্পদ, ক্ষমতা এবং প্রভাবের একটি অভিজাততন্ত্র বিকশিত হচ্ছে, যা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের সমগ্র গণতন্ত্র, আমাদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং আমাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।”
সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সামাজিক মাধ্যম সত্যের উপর মিথ্যা চাপিয়ে দিচ্ছে, ক্ষমতা ও মুনাফার জন্য।”
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) বিপুল সম্ভাবনা দেখলেও এর বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন বাইডেন।
তিনি জানিয়েছেন, এআই বিপুল সম্ভাবনা উপহার দিতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রহরা না থাকলে তা নতুন হুমকির জন্ম দিতে পারে। তবে রূপান্তরমূলক প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই চীনের ওপর নেতৃত্ব নিতে হবে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।