গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমদ সোহেল তাজ আবারও বিয়ে করেছেন। বেশ কয়েকদিন আগে রাজধানীতে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫৫ বছর বয়সী সোহেল তাজ সম্প্রতি বাগদান সম্পন্ন করেন। 

ধানমন্ডিতে নিজের ফিটনেস সেন্টার ইন্সপায়ারে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে হাঁটু গেড়ে বসে তাঁরই ফিটনেস সেন্টারের ট্রেইনার শাহনাজ পারভীন শিমুর হাতে আংটি পরিয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন সোহেল তাজ। 

সে সময় বাগদানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোহেল তাজের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী আবু কাউছার জানিয়েছিলেন, ‘আমিও বাগদানের সময় উপস্থিত ছিলাম। এ সময় সোহেল তাজের ছেলে ব্যারিস্টার তুরাজ তাজ, ছেলের বউ, নাতিসহ বন্ধু ও ফিটনেস সেন্টারের সবাই উপস্থিত ছিলেন।’

বাগদানের সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরালও হয়।  এবার প্রকাশ্যে এলো তাদের বিয়ের ফটোশুটের ছবি।  ছবিগুলো প্রকাশ করেছে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান ড্রিম ওয়েভার। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও প্রধান ফটোগ্রাফার মো.

মাকসুদুর রহমানও তার ওয়ালে ছবিগুলো শেয়ার করে জানিয়েছেন তিনিই সোহেল তাজ ও  শাহনাজ পারভীন শিমুর বিয়ের ফটোশুট করার কথা। 

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে শিমু মা ও দুই ভাইকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে সোহেল তাজের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়অ। 

২০০১ সালের নির্বাচনে কাপাসিয়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সোহেল তাজ। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদও ছাড়েন। এরপর রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে সোহেল তাজ। কয়েক বছর ধরে ফিটনেসের প্রতিই তিনি বেশি মনোযোগী। সেসবের ছবি এবং ভিডিও প্রায়ই পোস্ট করেন ফেসবুকে। এ ছাড়া কয়েক মাস ধরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সমালোচনামূলক বিভিন্ন বক্তব্য ও সংবাদ শেয়ার করছেন তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টন স ফ টন স

এছাড়াও পড়ুন:

১০ ও ১১ মে সিটি ব্যাংকের সব সেবা বন্ধ থাকবে

ডেটা সেন্টার স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করতে লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ রাখবে সিটি ব্যাংক। আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যাংকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বুধ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, ডেটা সেন্টার স্থানান্তর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আগামী ৯ মে রাত ১২টা থেকে ১১ মে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিটি ব্যাংককে সম্মতি দেওয়া হলো।

১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটি ব্যাংকের গ্রাহক গত বছর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখে। ২০০৭ সালে ব্যাংকটির গ্রাহক ছিল ৬৮ হাজার। ব্যাংকটির কর্মকর্তার সংখ্যা এখন ৫ হাজার ৩২১ জন। দেশের সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক রয়েছে সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। আর ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। গত বছর শেষে হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাইলফলক ছুঁয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি গত বছর শেষে সমন্বিত মুনাফা করেছে ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ