গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গত ৫ মাসের কার্যক্রম নিয়ে জনমনে অসন্তুষ্টি আছে, ক্ষোভ আছে।” 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী এলাকায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার গ্রামের বাড়িতে তার বউ ভাতের দাওয়াতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, “বাংলাদেশের মাটিতে শহীদের রক্ত এখনো শুকায়নি, আহতরা এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। তবে এখনো ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা ও হামলায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই সরকারের প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল, প্রথমে গণহত্যা ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করা। আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখনো নিষিদ্ধ হয়নি। যদি, আওয়ামী লীগ শহীদের রক্তে ভেজা মাটিতে রাজনীতি করার সুযোগ পায়, তাহলে কাল সাপ হয়ে এই জাতিকে ধ্বংস করবে।”

আরো পড়ুন:

নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার চান নুর

ফ্যাসিস্ট যাতে তৈরি না হয় সেজন্য একভূত সংসদ প্রয়োজন: নূর

তিনি বলেন, “ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমরা ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের সম্পর্ক চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। ভারত বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়া  সত্ত্বেও তাদের মনটা বৃহৎ বা উদার নয়।”

এসময় তিনি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য নুর এ এরশাদ সিদ্দিকি, জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন পলাশ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ল হক ন র

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদান এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়ে। ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র লড়াই থেকে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয় এবং সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার অভিযোগও ওঠে।

সম্প্রতি আরএসএফ এল-ফাশের শহরটি দখল করার পর এর বাসিন্দাদের নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট বলে অভিহিত করেছে।

পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থান ও সংঘাতের শুরু

১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দফায় দফায় যে উত্তেজনা চলছিল, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমান গৃহযুদ্ধ।

বশিরের প্রায় তিন দশকের শাসনের অবসানের দাবিতে বিশাল জনবিক্ষোভ হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু দেশটির মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি যৌথ সামরিক-বেসামরিক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আরও একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারটিকে উৎখাত করা হয়। এই অভ্যুত্থানের কেন্দ্রে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও দেশটির কার্যত প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি ও আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো।

এই দুই জেনারেল দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ও বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়া নিয়ে প্রস্তাবিত পদক্ষেপে একমত হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে মূল বিরোধের বিষয় ছিল প্রায় এক লাখ সদস্যের আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা এবং নতুন এই যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে। ধারণা করা হয়, দুজন জেনারেলই তাঁদের ক্ষমতা, সম্পদ ও প্রভাব ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।

আরএসএফ সদস্যদের দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হলে সেনাবাহিনী বিষয়টিকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সেই লড়াই দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে এবং আরএসএফ খার্তুমের বেশির ভাগ অংশ দখল করে নেয়। যদিও প্রায় দুই বছর পর সেনাবাহিনী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।

জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান (বামে) এবং আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো (ডানে)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহরুখ খান: গণহত্যার সময় বিলিয়নিয়ার হওয়ার অর্থ কী
  • সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
  • সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
  • জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
  • সুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন
  • সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
  • একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আলাল
  • সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী