চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সংঘর্ষ: বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ
Published: 18th, January 2025 GMT
ফসল কাটা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী (বিএসএফ)। আজ শনিবার বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কড়া প্রতিবাদের মুখে পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ।
এর আগে সকালে ফসলি জমি ও আম গাছ কাটার অভিযোগে বাংলাদেশিরা সীমান্তে জড়ো হন। অন্যদিকে ভারতীয় অংশে ফসল কেটে নেওয়ার অভিযোগে ভারতীয়রা জড়ো হয় এবং একপর্যায়ে দুদেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।। এ ঘটনায় তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও ভারতীয় অংশ থেকে টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। চৌকা-কিরণগঞ্জ সীমান্তে দিনভর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ছিল। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার পতাকা বৈঠকের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে কাজ করেছে। বিজিবি জানায়, সকালে কিরণগঞ্জ সীমান্তের ভারতীয় অংশে জমি থেকে গম কেটে নেওয়ার অভিযোগ করে দেশটির নাগরিকরা। এ সময় ভারতের সীমান্তরক্ষীরা কয়েকজন বাংলাদেশিকে আটকাতে গেলে বাধা দেন গ্রামবাসী।
এই নিয়ে দুই দেশের সীমান্তোর বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় ভারত অংশ থেকে ককটেল, টিয়ারগ্যাস ছোড়া হয়। এতে বেশকয়েকজন আহত হন। পরে খবর পেয়ে বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে।
এ ছাড়া বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশি বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ ব এসএফ স ঘর ষ ব এসএফ র পর স থ ত
এছাড়াও পড়ুন:
তেঁতুলিয়া সীমান্তে পুশইনের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগঞ্জ সীমান্তে পুশইনের সময় পাঁচজনকে আটক করেছে বিজিবি। শনিবার সকালে পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদের তিনজন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয় নাগরিক।
বিজিবি জানায়, তেঁতুলিয়া পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩০/২ এস থেকে প্রায় ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুচ্ছগ্রাম থেকে ভারতের প্রতিপক্ষ ১৩২/পুরোহিতগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা চান্দাপাড়া এলাকা থেকে বিএসএফের পুশইন করা দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষকে আটক করে বিজিবির টহলদল।
আটক বাংলাদেশিরা হলেন- যশোরের শার্শা থানার বড় কলোনি গ্রামের মারফত আলীর ছেলে কোরবান গাজী (৩৩), অভয়নগর থানার ডাকহিদিয়া শ্যামলনগর গ্রামের মৃত মকবুল শেখের ছেলে তরিকুল শেখ (৪২) ও নড়াইল সদর থানার গোবরা বাজারের বীরগ্রাম গ্রামের মৃত ঈশ্বর গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে শ্রী বন্দনা রানী বিশ্বাস (৩৭)।
ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- মোছা. নাজমা (২৭) এবং মোছা. ফারজানা (২৩)। নাজমা পালঘর জেলার বুড়িগুলি থানার কান্দেওয়ালি গ্রামের ইয়াসিন সরকারের মেয়ে এবং ফারজানা পালঘর জেলার ধানিউ থানার পালঘাট ভাসাই গ্রামের মারফত আলী গাজীর মেয়ে।
আটককৃত ব্যক্তিদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।