ফসল কাটা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী (বিএসএফ)। আজ শনিবার বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কড়া প্রতিবাদের মুখে পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ।

এর আগে সকালে ফসলি জমি ও আম গাছ কাটার অভিযোগে বাংলাদেশিরা সীমান্তে জড়ো হন। অন্যদিকে ভারতীয় অংশে ফসল কেটে নেওয়ার অভিযোগে ভারতীয়রা জড়ো হয় এবং একপর্যায়ে দুদেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।। এ ঘটনায় তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও ভারতীয় অংশ থেকে টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। চৌকা-কিরণগঞ্জ সীমান্তে দিনভর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ছিল। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার পতাকা বৈঠকের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে কাজ করেছে। বিজিবি জানায়, সকালে কিরণগঞ্জ সীমান্তের ভারতীয় অংশে জমি থেকে গম কেটে নেওয়ার অভিযোগ করে দেশটির নাগরিকরা। এ সময় ভারতের সীমান্তরক্ষীরা কয়েকজন বাংলাদেশিকে আটকাতে গেলে বাধা দেন গ্রামবাসী।

এই নিয়ে দুই দেশের সীমান্তোর বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় ভারত অংশ থেকে ককটেল, টিয়ারগ্যাস ছোড়া হয়। এতে বেশকয়েকজন আহত হন। পরে খবর পেয়ে বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে।

এ ছাড়া বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশি বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে.

কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সীমান্তের কয়েকটি আম গাছ কেটে নেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। বিজিবি সীমান্তে দায়িত্বপালন করছে, আমরা জনসাধারণকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন সীমান্ত রেখা এলাকায় অবস্থান না করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ ব এসএফ স ঘর ষ ব এসএফ র পর স থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ