শ্রীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে ১৫ শ্রমিক আহত
Published: 20th, January 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে কারখানার স্যাম্পল রুমে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন– স্যাম্পল সুপারভাইজার রইস উদ্দিন (২৮), সুজন মিয়া (২৬), রহিজ উদ্দিন (২৭), শুক্কুর (৩০), ইয়াসিন আলী (২০), শাহজাহান (২৪), সোনিয়া (২৩), সারজিনা (২৫), কুলসুম (২৭), আমেনা (২৯), লিমা (২৯), রইস উদ্দিন (২৬), ইকবাল হোসেন (৩০), রনি (২৩) এবং আরিফুল ইসলাম (২৪)।
আহতদের মাওনা চৌরাস্তার আল হেরা হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে, গুরুতর আহত ইয়াসিন আলীকে স্বজনেরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
আহত সুইং রিসিভম্যান শাহজাহান বলেন, ‘‘কারখানার উৎপাদন শেডের প্রবেশ ফটকের পাশে মিনি বয়লারের অবস্থান। সকাল ৯টার দিকে স্যাম্পল বিভাগের মিনি বয়লারে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণে পুরো কক্ষের জানালার কাচ, আসবাবপত্র, ফ্যান, লাইট ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাচের আঘাতে এবং দৌড়ে বের হওয়ার সময় কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।’’
কারখানার শ্রমিক তাইজ উদ্দিন বলেন, ‘‘সকালে কাজ করছিলাম। হঠাৎ স্যাম্পল সেকশনে বিকট শব্দ পাই। পরে শুনি বিস্ফোরণ হয়েছে। কারখানার উপরের টিনের ছাউনি ছিদ্র হয়ে উড়ে গেছে। ভাঙা কাচের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’’
আল হেরা হাসপাতালের চিকিৎসক আলিম বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে কয়েকজনকে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে, তেমন বড় ধরনের আঘাত পাননি তারা।’’
কারখানার ইলেকট্রিক ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, ‘‘সকাল ৮টার দিকে স্যাম্পল রুমের মিনি বয়লারের সুইচ অন করেন অপারেটর। মেশিন পানি না নেওয়ায় বয়লার হিট হয়ে স্টিম বিস্ফোরণ ঘটে।’’
এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘‘বয়লার বিস্ফোরণে ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন। কারখানার পক্ষ থেকে প্রত্যেকের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’’
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ‘‘এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা বয়লার বিস্ফোরণে কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।’’
ঢাকা/রফিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।