চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন রোধ করতে চান মেডিকেল পরীক্ষায় তৃতীয় হওয়া তাসনিম
Published: 20th, January 2025 GMT
“আশা ছিল আমি মেডিকেলে চান্স পাব। তবে তৃতীয় হব তা ভাবতেও পারিনি। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমি সারা বাংলাদেশে তৃতীয় হয়েছি। আমি চাই, সবকিছুর উর্ধ্বে থেকে মানুষের সেবায় কাজ করতে। চিকিৎসার জন্য রোগীদের বিদেশ গমন রোধ করতে চাই আমি। দেশবাসী যাতে উন্নত মানের সেবা পান সেটি নিশ্চিত করতে চাই।”
কথাগুলো বলছিলেন শেখ তাসনিম ফেরদৌস। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছেন যশোরের অভয়নগর উপজেলার এই ছেলে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে তাসনিম ফেরদৌস ৮৯ দশমিক ২৫ পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
শেখ তাসনিম ফেরদৌসের বাবার বাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলার বুইকরা গ্রামে। বর্তমানে তারা নওয়াপাড়ার বুইকরাতে বসবাস করছেন। তাসনিম ফেরদৌসের বাবা শেখ গোলাম রসুল অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। তার মা রোকেয়া পারভীন গৃহিণী। শেখ তাসনিম ফেরদৌস দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট।
আরো পড়ুন:
এক কলেজের ৫৩ শিক্ষার্থী পেলেন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ
রমেক অধ্যক্ষ মাহফুজার রহমান ওএসডি
তাসনিম ফেরদৌস নয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ি গ্রামের শেখ আব্দুল ওহাব মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। দুই পরীক্ষাতেই তিনি জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গতকাল বিকেলে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল জানতে পারার পর থেকে তার পরিবারের সদস্যরা আনন্দে ভাসছেন।
শেখ আব্দুল ওহাব মডেল কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, তার (তাসনিম ফেরদৌস) সাফল্যে আমরা গর্বিত। তার মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন ছিল। শিক্ষক ও পরিবারের আন্তরিকতা ও নিজের চেষ্টায় মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় তিনি তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। তার অভাবনীয় সফলতায় অভয়নগরের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকরণীয় হবে।”
তাসনিম ফেরদৌসের বাবা শেখ গোলাম রসুল বলেন, “আমার সন্তানের সাফল্যে আমরা গর্বিত। সবাই দোয়া করবেন, আমার ছেলে যেন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে।”
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল কল জ পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে ৭ জনকে জিম্মি করে সোনার দোকানে ডাকাতি
যশোরের অভয়নগর উপজেলার একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছে। গতকাল রোববার গভীর রাতে মশিয়াহাটী বাজারের সৌখিন জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে।
দোকানটির মালিক গৌতম কর্মকার (৫০)। তিনি মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
গৌতম কর্মকার জানান, গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর সোনার দোকানে ডাকাতি হচ্ছে। কিন্তু ভয়ে তিনি রাতে বাড়ি থেকে বের হননি। আজ সকালে দোকানটিতে গিয়ে তিনি ডাকাতির আলামত দেখতে পান।
গৌতম কর্মকারের দাবি, তাঁর দোকানের লকারে প্রায় ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও ২৪ ভরি ওজনের রুপার গয়না ছিল। এগুলোর বাজারমূল্য চার লাখ টাকার বেশি। ডাকাত দলটি এগুলোর সব লুট করেছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল রাত ২টার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল মশিয়াহাটী বাজারে আসে। তাদের সবার মুখ কাপড়ে দিয়ে বাঁধা ছিল। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে একজন নারীসহ বাজারের অন্তত সাতজনকে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে এবং মুখে টেপ লাগিয়ে ফেলে রাখে। এরপর সৌখিন জুয়েলার্সের কলাপসিবল গেটের একটি পাশ এবং শাটারের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে লকারের তালা ভেঙে সোনা ও রুপার গয়না নিয়ে যায় তারা। ভোর চারটা পর্যন্ত সেখানে ডাকাতি হয়। এ সময় শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হন স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ বিশ্বাস (৬০) ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা বিশ্বাস (৫৫)। ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে প্রতিমা বিশ্বাসের গলার একটি সোনার হার নিয়ে যায়।
মশিয়াহাটী বাজারের পাশে সুজাতপুর গ্রাম। ওই গ্রামের কৌশিক দাস (১৬) জানায়, গতকাল রাতে ঘুম আসছিল না। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে হেঁটে বাজারের দিকে যাচ্ছিল। বাজারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাতেরা তাকে ধরে ফেলে। এরপর তার দুই হাত দড়ি দিয়ে পেছনে বেঁধে মুখে চওড়া স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়।
কৌশিক দাস বলে, ‘ডাকাত দল চলে যাওয়ার পর ভোর চারটার দিকে আমি কৌশলে হাতের বাঁধন খুলে ফেলি। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যদের হাত ও মুখের স্কচটেপ খুলে দিয়েছি।’
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম রবিউল ইসলাম, বিষয়টি চুরি না ডাকাতি, তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।