“আশা ছিল আমি মেডিকেলে চান্স পাব। তবে তৃতীয় হব তা ভাবতেও পারিনি। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমি সারা বাংলাদেশে তৃতীয় হয়েছি। আমি চাই, সবকিছুর উর্ধ্বে থেকে মানুষের সেবায় কাজ করতে। চিকিৎসার জন্য রোগীদের বিদেশ গমন রোধ করতে চাই আমি। দেশবাসী যাতে উন্নত মানের সেবা পান সেটি নিশ্চিত করতে চাই।”

কথাগুলো বলছিলেন শেখ তাসনিম ফেরদৌস। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছেন যশোরের অভয়নগর উপজেলার এই ছেলে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে তাসনিম ফেরদৌস ৮৯ দশমিক ২৫ পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

শেখ তাসনিম ফেরদৌসের বাবার বাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলার বুইকরা গ্রামে। বর্তমানে তারা নওয়াপাড়ার বুইকরাতে বসবাস করছেন। তাসনিম ফেরদৌসের বাবা শেখ গোলাম রসুল অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। তার মা রোকেয়া পারভীন গৃহিণী। শেখ তাসনিম ফেরদৌস দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট।

আরো পড়ুন:

এক কলেজের ৫৩ শিক্ষার্থী পেলেন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ

রমেক অধ্যক্ষ মাহফুজার রহমান ওএসডি

তাসনিম ফেরদৌস নয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ি গ্রামের শেখ আব্দুল ওহাব মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। দুই পরীক্ষাতেই তিনি জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গতকাল বিকেলে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল জানতে পারার পর থেকে তার পরিবারের সদস্যরা আনন্দে ভাসছেন।

শেখ আব্দুল ওহাব মডেল কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, তার (তাসনিম ফেরদৌস) সাফল্যে আমরা গর্বিত। তার মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন ছিল। শিক্ষক ও পরিবারের আন্তরিকতা ও নিজের চেষ্টায় মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় তিনি তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। তার অভাবনীয় সফলতায় অভয়নগরের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকরণীয় হবে।” 

তাসনিম ফেরদৌসের বাবা শেখ গোলাম রসুল বলেন, “আমার সন্তানের সাফল্যে আমরা গর্বিত। সবাই দোয়া করবেন, আমার ছেলে যেন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে।”

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল কল জ পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

অভয়নগরে প্রবাস ফেরত যুবককে হত্যা 

যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলীতে প্রবাস ফেরত হাসান শেখ (৩০) নামে এক যুবককে জবাই করে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে নাউলী গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে যুবকটির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহত হাসান শেখ অভয়নগর উপজেলার নাউলি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, হাসান শেখ দীর্ঘ ৮ বছর কুয়েতে প্রবাসী জীবন শেষ করে আড়াই মাস আগে দেশে ফিরেন। ২ মাস আগে বিবাহ করেন তিনি। শনিবার প্রতিদিনের মত বন্ধুদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দিচ্ছিলেন হাসান। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে তার হদিস পায়নি। আজ ভোরে স্থানীয়রা মাছের ঘেরে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, পূর্ব শত্রুতা কিংবা পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে স্থানীয় দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা/রিটন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাছের ঘেরের পাড়ে পড়ে ছিল কুয়েতপ্রবাসী যুবকের গলাকাটা লাশ
  • অভয়নগরে প্রবাস ফেরত যুবককে হত্যা