জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আধুনিক জনসংযোগ কৌশল, ধারণা ও বিকাশবিষয়ক প্রশিক্ষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

আধুনিক জনসংযোগ কৌশলের প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে নিজামূল কবীর বলেন, “মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো উপদেষ্টাদের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সংবাদ প্রচার করা। এর পাশাপাশি স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ের জনগুরুত্বপূর্ণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম-সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার করা।”

আরো পড়ুন:

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ওয়ালটনের শুভেচ্ছা

দৈনিক সংগ্রামের সুবর্ণজয়ন্তীতে ওয়ালটনের শুভেচ্ছা

এ সময় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে সংবাদ প্রচারের জন্য জনসংযোগ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান তথ্য অফিসার।

গুজবকে তথ্য সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনা করে নিজামূল কবীর বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে গুজব প্রতিরোধ করা একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত গুজব প্রতিরোধে জনসংযোগ কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।”

তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ প্রসঙ্গে প্রধান তথ্য অফিসার জানান, জনসংযোগ কর্মকর্তাগণকে গুরুত্ব সহকারে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ের তারুণ্যের উৎসব উদ্‌যাপন-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার করতে হবে। তারুণ্যের উৎসব বিষয়ে ফিচার ও নিবন্ধ লেখার জন্য জনসংযোগ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার (প্রেস) ম.

জাভেদ ইকবাল, উপপ্রধান তথ্য অফিসার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ আলী সরকারসহ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জনস য গ ক

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক