Samakal:
2025-11-03@08:05:58 GMT

মাথাব্যথা,জ্বর জ্বর ভাব

Published: 20th, January 2025 GMT

মাথাব্যথা,জ্বর জ্বর ভাব

ঠান্ডা-গরমের তারতম্য, সর্দি-কাশি, বৃষ্টিতে ভেজা বা গরমে ঘামা– এসব পরিস্থিতি সাইনোসাইটিসের রোগীদের জন্য কষ্টকর বটে। এই সময়ে তাদের অসুখ বেড়ে যায়। সাইনাস হলো, মাথার খুলির হাড়ের মধ্যে অবস্থিত কিছু ফাঁকা জায়গা। চোখের পেছনে, নাকের হাড়ের দুই পাশে এ রকম ফাঁকা জায়গা আছে। এই ফাঁকা জায়গায় সর্দি জমে সাইনোসাইটিস বা প্রদাহ হয়। এতে বাতাস আটকে যায় এবং মাথাব্যথা করে। এই মাথাব্যথা সাধারণত কপালে বা গালের দু’দিকে কিংবা চোখের পেছনে অনুভূত হয়। সকালের দিকেই শুরু হয় এবং একটু নিচু হলে ব্যথা বাড়ে। ওপরের পাটির দাঁতেও ব্যথা হতে পারে। সঙ্গে জ্বর জ্বর ভাব বা শীত শীত অনুভূত হতে পারে। মাথাব্যথার কারণ খুঁজতে গিয়ে সাইনোসাইটিস পাওয়া যায়। এই সময়ে বন্ধ নাক, সর্দি, জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা হলে সাইনোসাইটিসে ভুগছেন কিনা লক্ষ্য করুন। 
এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে কিছু পরামর্শ
lনাকে স্যালাইন স্প্রে বা ড্রপ দিলে জমে থাকা মিউকাস বা আঠালো পদার্থ নরম হয়ে আসবে এবং সাইনাসের ফোলা বা ব্লক কিছুটা হলেও দূর হবে।
আর্দ্র ও গরম বাতাস বন্ধ সাইনাস খুলে নিতে সহায়ক। রাতে ঘুমানোর আগে খানিকটা বাষ্প নিলে রাতে আরাম পাবেন। গরম পানি দিয়ে গোসল করে বাথরুমে কিছুটা সময় কাটান। অথবা গামলায় গরম পানি নিয়ে বাষ্প নাক দিয়ে টেনে নিন।
lখুব মাথাব্যথা করলে এক টুকরো কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে কপাল, চোখের ওপর বা নাকের দু’পাশে সেঁক দিন। এতেও সাইনাসের বদ্ধতা কাটবে এবং আরাম পাবেন ।
lসব সময় অ্যান্টিবায়োটিক লাগবে তা নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ