নড়াইলে ২০ দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব ও যুব সমাবেশ
Published: 23rd, January 2025 GMT
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ২০ দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব ও যুব সমাবেশ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে তারুণ্য মেলার উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফিরোজ সরকার।
নড়াইল জেলা প্রশাসক শারমির আক্তার জাহান এর সভাপতিত্বে যুব সমাবেশের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আহসান মাহমুদ রাসেল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সৈয়দ শাফায়ত হোসেন, নড়াইল পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর, সিভিল সার্জন ডা.
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেন, “প্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষার কার্যক্রম চালু রাখার জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকরা শিক্ষক সুলভ আচরণ করবেন।”
ঢাকা/শরিফুল/ইমন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’