বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে। তবে, সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে বাড়ানো হয়েছে চাল ও তেলের দাম। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, ডিলার ও আড়ৎদাররা চাল ও সয়াবিন তেলের অর্ডার নিয়েও ঠিকমতো পণ্য সরবরাহ করছেন না।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর নিউ মার্কেট ও কারওয়ান বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এখন প্রতি কেজি ব্রি-২৮ চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, মিনিকেট চাল ৭৮ থেকে ৮২ টাকায়, নাজিরশাইল ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় এবং গুটি স্বর্ণা চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত ৯ ডিসেম্বর বৈঠকের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মিল মালিকদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেলের নতুন দাম অনুমোদন দেয়। এরপর কয়েকদিন বাজারে সরবরাহ বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে সরবারহ যথেষ্ট নয়। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, আরেক দফায় দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে কোম্পানিগুলো। তাই, অর্ডার অনুযায়ী সরবরাহ করছে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৬৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা এবং খোলা পাম অয়েলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা করা হয়। বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৬০ টাকা করা হয় তখন।
সবজির বাজারে স্বস্তি
রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, সিম ৩০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস লাউ ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, দেশি শসা ৩০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বড় আকারের ফুলকপির জোড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, প্রতি পিস জালি কুমড়া ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সরবরাহ ভালো থাকায় কমছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি রসুন ২৩০ টাকা ও দেশি আদা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মাছের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম স্বাভাবিক আছে। মাঝারি সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। বড় সাইজের চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, কৈ ১৮০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ টাকা এবং দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ডিমের দামও স্বাভাবিক আছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়।
বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানীর সালেক গার্ডেন কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা নাসির সিকদার রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “চালের দাম দিন দিন বাড়ছে। এর ফলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষ যারা নির্ধারিত বেতনে চাকরি করি, তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাই, সরকারকে বলব, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য এখনই যথাযথ পদক্ষেপ নিন।”
রাজধানীর নিউ মার্কেটের চাল ব্যবসায়ী সাইফুল মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাজারে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
পাইকারি ও মিল পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে খুচরা পর্যায়েও দাম বেড়েছে। দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রিও কমেছে।”
ঢাকা/রায়হান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরবর হ ৩০ ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত//