ফেসবুকে ড. ইউনূসের পদত্যাগের গুজব শুনে আ.লীগের শোডাউন, গ্রেপ্তার ২
Published: 25th, January 2025 GMT
নোয়াখালীর চাটখিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুজব শুনে শোডাউন করার অভিযোগে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আটককৃতরা হলেন ইব্রাহিম খলিল ওরফে রাসেল (৪২)। তিনি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের জমাদার বাড়ির মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। আরেকজন গোলাম কিবরিয়া ওরফে লিটন (৪৫)। তিনি একই গ্রামের ইসমাইল বেপারী বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে।
শনিবার দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। চাটখিল থানার ওসি ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী শনিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টা ড.
স্থানীয় ৫ নং মোহাম্মাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদি হাসান বাহালুল শনিবার সকালে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আটককৃতরা আওয়ামী লীগ সমর্থক তবে সক্রিয় কর্মী না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের ২৫-৩০ জন নেতাকর্মীর শোডাউনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ওই সময় স্থানীয় বিএনপির লোকজন দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় মামলা হবে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ৬৮ আফ্রিকান অভিবাসী নিহত: হুতি
হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি আটককেন্দ্রে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৬৮ জন আফ্রিকান অভিবাসী নিহত হয়েছেন বলে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির টিভি চ্যানেল আল মাসিরাহ জানিয়েছে। সূত্র: বিবিসি
আল মাসিরাহর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাদা প্রদেশে অবস্থিত ওই আটককেন্দ্রে হামলার ফলে আরও ৪৭ জন অভিবাসী আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগের অবস্থা সংকটজনক। আল মাসিরাহ টেলিভিশন হামলার দৃশ্যের গ্রাফিক ফুটেজ প্রচার করেছে, যেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকা বহু মরদেহ দেখা গেছে।
তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
এই হামলার কিছুক্ষণ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৫ মার্চ হুতিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করার নির্দেশের পর থেকে তারা ৮০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
সেন্টকম জানায়, এসব হামলায় শত শত হুতি যোদ্ধা এবং অসংখ্য হুতি নেতা নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
হুতির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, মার্কিন হামলায় অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যদিও তারা হুতি সদস্যদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম উল্লেখ করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলার সময় সাদা প্রদেশের ওই অভিবাসী আটক কেন্দ্রে ১১৫ জন আফ্রিকান অভিবাসী ছিল।
১১ বছরের সংঘাতের কারণে ইয়েমেনে মানবিক সংকট সত্ত্বেও, অভিবাসীরা এখনও আফ্রিকার হর্ন অঞ্চল থেকে নৌকায় করে ইয়েমেনে আসছে। তাদের বেশিরভাগের লক্ষ্য সৌদি আরবে পৌঁছে কাজ খোঁজা। কিন্তু বাস্তবে তারা শোষণ, আটক, সহিংসতা এবং যুদ্ধক্ষেত্র পেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার মুখোমুখি হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আইওএম আরও জানিয়েছে, শুধু ২০২৪ সালেই প্রায় ৬০ হাজার ৯০০ অভিবাসী ইয়েমেনে পৌঁছেছে, যাদের অধিকাংশের বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই।
এর আগে মাসের শুরুতে হুতি-চালিত সরকার জানিয়েছিল, রেড সি উপকূলের রাস ইসা তেল টার্মিনালে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সেন্টকম জানায়, ওই হামলা রাস ইসার জ্বালানি গ্রহণের সক্ষমতা ধ্বংস করেছে, যা হুতিদের পরিচালনা এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতাকে হ্রাস করবে।
গত মাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক হামলার নির্দেশ দেন এবং হুতিদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার হুমকি দেন। তিনি ইরানকেও সতর্ক করেন, যাতে তারা হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ না করে। যদিও ইরান বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।