নোয়াখালীর চাটখিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুজব শুনে শোডাউন করার অভিযোগে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

আটককৃতরা হলেন ইব্রাহিম খলিল ওরফে রাসেল (৪২)। তিনি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের জমাদার বাড়ির মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। আরেকজন গোলাম কিবরিয়া ওরফে লিটন (৪৫)। তিনি একই গ্রামের ইসমাইল বেপারী বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে। 

শনিবার দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। চাটখিল থানার ওসি ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী শনিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ  ইউনূসের পদত্যাগের গুজব শুনে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজারে শোডাউন করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একদল নেতাকর্মী। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিএনপি ও চাটখিল থানা পুলিশ। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাসেল মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও লিটন স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। 

স্থানীয় ৫ নং মোহাম্মাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদি হাসান বাহালুল শনিবার সকালে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আটককৃতরা আওয়ামী লীগ সমর্থক তবে সক্রিয় কর্মী না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী  বলেন, আওয়ামী লীগের ২৫-৩০ জন নেতাকর্মীর শোডাউনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ওই সময় স্থানীয় বিএনপির লোকজন দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় মামলা হবে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত কর ম আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক ১ 
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক