১১৬ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
Published: 27th, January 2025 GMT
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ফের বাড়ল। আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত। এই নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ১১৬ বার বাড়ানো হলো।
এদিকে, গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার আরেকটি আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান ও পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মশিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ১২ বছর ধরে অমীমাংসিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে র্যাবের ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ বলেন, দীর্ঘদিনেও তদন্ত শেষ না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। এতে শুধু সাগর রুনির পরিবার নয়, পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটির তদন্ত কাজ র্যাবের কাছ থেকে নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সে হস্তান্তর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। এই টাস্কফোর্সকে তদন্ত শেষ করে ছয় মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৬ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন। এর আগে, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সরকার ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিলের হাইকোর্টের দেওয়া একটি আদেশ সংশোধনের জন্য একটি আবেদন করে, যেখানে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা থেকে মামলাটি র্যাবকে দেওয়া হয়েছিল।
আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ নভেম্বর পিবিআই এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয়। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত পিবিআইকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙ্গার বার্তা সম্পাদক সাগর এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। ঘটনার সময় এই দম্পতির পাঁচ বছরের একমাত্র ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ বাসাতেই ছিল। রুনির ভাই নওশের আলী রোমান পরদিন শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি
জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া দেশের সব সচল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে এই জানিয়েছেন সমিতিটি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে তৎকালীন সরকার সারা দেশে সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়। তবে ২০১৩ সালের গেজেট মূলে ২০১২ সালের মে মাসে সারা দেশে ৩০ হাজার ৩৫২টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেই সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় বাদ রেখে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়।
আরো পড়ুন:
পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতায় সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন: উপদেষ্টা
তৃতীয় ধাপের বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের ক্ষেত্রে ২০১২ সালের মে মাসের আগে স্থাপিত ও পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদন করে রাখা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করতে হবে বলে জোর দাবি তোলেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, একই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন কিছু কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকায়, সব শর্ত পূরণ করার পরেও ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এই বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে থেকে ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাসহ ১ হাজার ৩০০ বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য উপজেলা ও জেলায় যাচাই-বাচাই করা হয়েছে, যা মন্ত্রণালয় সংরক্ষণ করা আছে।
জাতীয়করণকালীন সময়ে পাঠদানের অনুমতি ও রেজিট্রেশনের কার্যক্রম স্থগিত রাখায় এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতার সুবিধা ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সতিমির নেতারা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান পরিচালনা করলেও বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ না হওয়ায় আমরা শিক্ষকরা মানবেতর যীবন যাপন করছি। আমরা অন্যের শিশুকে জ্ঞানের আলো দিলেও আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। এই অবস্থা দূর করতে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, “২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি সব বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হলেও ফ্যাসিস্ট সরকার বিগত দিনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় সুকৌশলে বাদ দেয়। এই বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী লিটন বলেন, “বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শত প্রতিকূলতার মাঝেও বিশ্বদরবারে তারা আজ বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের চিঠি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে সারা দেশের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি ও টিফিনসহ প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত হবে; সেই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে।”
মানববন্ধনে সারা দেশ থেকে আসা বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যদের দেখা যায়।
ঢাকা/রায়হান/রাসেল