সভাপতি নির্বাচন নিয়ে আবু সাইদ চাঁদ-আনোয়ার হোসেন গ্রুপে সংঘর্ষ
Published: 27th, January 2025 GMT
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের পাটিয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন– পাটিয়াকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, শিমুলিয়া গ্রামের শাহজাহান আলী, তাঁর ছেলে সেলিম হোসেন, একই গ্রামের নাজমুল আলী, পলাশ আলী, শাহু সর্দার ও কাজিম উদ্দিন মোল্লা। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ ও জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের তপশিল ঘোষণা করা হলে প্রধান শিক্ষক জাকারিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন আবু সাইদ চাঁদের সমর্থকরা। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। তারা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যোগসূত্র আছে এমন অভিযোগ তুলে তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন। এর পর থেকে প্রধান শিক্ষক গত ১০ দিন ছুটি নেন। ছুটি শেষে সোমবার সকালে পাশের গ্রাম থেকে লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ে যান। বহিরাগত আনায় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এসময় সরদহ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাবুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
আহত স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট প্রধান শিক্ষক ৩০-৪০ জন বহিরাগত ক্যাডার নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল। বাধা দিলে তারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে।
প্রধান শিক্ষক এ কে এম জাকারিয়া বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তপশিল ঘোষণা করে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন দিয়েছিলাম। কিন্তু একটি পক্ষ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। কয়েকজন স্বজনকে নিয়ে বিদ্যালয়ে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে।
চারঘাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ইউএনও এবং এসিল্যান্ড স্যারকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় উত্তেজনা থাকলেও পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যাওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।