রূপগঞ্জে গাজী ও তার অনুসারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
Published: 27th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ তার অনুসারীদের ফাঁসির দাবিতে রূপগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সাবেক এ মন্ত্রী ও তার অনুসারীদের ছবিতে জুতার মালা পরিয়ে বিক্ষোভ করেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভুলতা কাঁচাবাজার আড়তের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশের মতো রূপগঞ্জ উপজেলায় অনেকে হতাহত হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়া লোকের পরিবারের কান্না থামছে না। আন্দোলনে কেউ ভাই হারিয়েছেন, কেউ সন্তান হারিয়েছেন।
এ ছাড়াও অনেকে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই খুনি সন্ত্রাসীদের বাংলার মাটিতে বিচার অবশ্যই হতে হবে। সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ তার দোসরদের ফাঁসি দিয়ে যথাযথ বিচারের দাবি জানাই।
রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা সাওঘাট এলাকায় বিসমিল্লাহ আড়ত নামে একটি কাঁচাবাজারের আড়ত সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার অনুসারীরা দখল করেছে বলে দাবি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নির্দেশে তার অনুসারী ডা.
ভুয়া চুক্তিনামা বানিয়ে আড়তের প্রকৃত মালিক সেলিম মিয়াকে ভাড়ার টাকা নিতে দফায় দফায় বাধা দিয়েছে। এভাবে সমগ্র রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী গাজীর নির্দেশে তার লোকজন ও সন্ত্রাসীরা দখলদারিত্ব করে মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা এই সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা বাবু, রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদল নেতা ইয়াকুব মিয়া, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা জাহিদ হাসান সাকিবসহ শতাধিক এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী গাজীকে আসামি করা হয়েছে। তিনি এখন হত্যা মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
এ ছাড়া তার ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা গাজী ও তার অনুসারীদেরও একাধিক মামলায় আসামি করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স ব ক মন ত র র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন : হুশিয়ারী
বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। সমাবেশ শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সিদ্ধিরগঞ্জ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এই কর্মসুচিতে সিদ্ধিরগঞ্জের দেড় শতাধিক কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের হাতে " প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ এ বৈষম্য কেন? শিক্ষা উপদেষ্টা জবাব চাই" সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড শোভা পায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বিল্লাল হোসেন রবিন, ঢাকা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি জি এইচ ফারুক, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন পরিচালক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো: সামসুজ্জামান, প্রধান সমন্বয়ক মো: সাইফুল ইসলাম রুবেল, মহাসচিব মো: সাখাওয়াত হোসেন খান, সিদ্ধিরগঞ্জ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন ঢালী, শিক্ষক কাওসার আহমেদ, এসএম বিজয়, আল মামুন , তরিকুল ইসলাম, বাহাউদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা প্রজ্ঞাপনে শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বেসরকারি, কিন্ডারগার্টেন ও এমপিও-বহির্ভূত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত ও হতাশ হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, “আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। অথচ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত কোমলমতি শিশুদের বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে তাদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে।”
তারা বলেন, দেশের প্রায় ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে, যাদের একটি বড় অংশ দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আশায় এগিয়ে এসেছে। এখন এই সিদ্ধান্ত তাদের স্বপ্ন ও শ্রমের প্রতি অবিচার।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকার বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ার অঙ্গীকার করলেও বাস্তবে এই প্রজ্ঞাপন সেই প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী। তারা প্রশ্ন তোলেন, “ই আই আই এন নম্বরধারী নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যদি এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়, তবে কেন নিবন্ধিত কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না?”
বক্তারা আরও বলেন ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, প্রতিবাদ ও স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন বাতিল করে সরকারি ও বেসরকারি সব প্রাথমিক শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোরা হবে।
মানববন্ধন ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, ১নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি নেজাম উদ্দিন শাহীন, ২নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি জাকির উল্লাহ সুজুন, ৩নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি মো: আজহারুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি মো: শামীম, ৬নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি মো: জাবের হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি মো: আল আমিন, ১০ নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি এড: মো: খোরশেদ আলম প্রমুখ।