বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রেলওয়ের  লিজকৃত পুকুর থেকে ৩ লাখ টাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ  মতিন, ইব্রাহিম ও জীবনগং এর বিরুদ্ধে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বন্দর উপজেলা  পশ্চিম হাজীপুর এলাকায় এ মাছ লুটের ঘটনাটি ঘটে। 

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত লিজকৃত মালিক মো. নাদিম মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন দুপুরে উল্লেখিত ৩ জনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানা ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এদিকে বন্দর থানা পুলিশ অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার ২০৪ নং সালেহনগর এলাকার মোতালিব মিয়ার ছেলে নাদিম মিয়া নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি রেলওয়ে কর্তৃক লীজকৃত ব্যক্তি মানিক মিয়ার নিকট হইতে গত ৮ জানুয়ারি তিনশত টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পুকুরের বাৎসরিক ভাড়া এবং পুকুরের মাছ সহ মোট দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান সাপেক্ষে একটি ভাড়া চুক্তি সম্পাদন করেন। 

পরবর্তীতে পুকুরে মাছ চাষের উপযোগী করার জন্য ১লাখ টাকা খরচ করে এবং পুনরায় দেড় লাখ ৎ টাকার মাছ পুকুরে ছেড়ে মাছ চাষ করাকালীন সময়ে সোমবার সকালে বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকার মৃত সাফি প্রধানের ছেলে মতিন একই এলাকার মৃত আবুল কালাম মিয়ার ইব্রাহিম মিয়া, রুহুল আমিন মিয়ার ছেলে জীবন একই এলাকার মৃত জব্বার মিঞা মিয়ার ইয়ানুর, একই এলাকার সাবু  মিয়ার ছেলে জাকির ও আক্কাস মিয়ার ছেলে শাহআলম সহ অজ্ঞাতনামা আরোও ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী নাদিম মিয়ার চাষকৃত মাছ পুকুর হইতে প্রায় ৩ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে যায়। 

ওই সময় মৎস চাষি নাদিম বিবাদীদের বাধা প্রদান করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারমূখি আচরণসহ হত্যার হুমকি প্রদান করে। 

এছাড়াও বলেন পুকুর থেকে মাছ ধরতে না দিলে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলবে এবং আরও হুমকি প্রদান করে এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জানে মেরে লাশ গুম করে ফেলেবে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র ম ত

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ