রাজশাহী রেলস্টেশনে স্টাফদের মারধর ও চেয়ার ভাঙচুর বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের
Published: 28th, January 2025 GMT
রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও কল্যাণ শ্রমিক ইউনিয়নের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজশাহী স্টেশন থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে কোনো ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে না। চিলাহাটিগামী সকাল ৬টা ২০ মিনিটের তিতুমীর এক্সপ্রেস, সকাল ৬টা ৩০ মিনিটের খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, সকাল ৭টার ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস এবং সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের ঢাকাগামী সিল্কসিটি ট্রেন ছেড়ে যায়নি।
এসব ট্রেনের যাত্রীরা সকালে এসে ট্রেন বন্ধ দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে স্টেশনের চেয়ার ভাঙচুর করেন। পাশাপাশি দুইজন স্টাফকে আটক করে মারধর করেন।
যাত্রীরা বলেন, টিকেট বিক্রি করে পূর্বঘোষণা ছাড়ায় ট্রেন বন্ধ রাখায় তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এরকম কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবিও জানান ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র লওয
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক