সুযোগ পাচ্ছেন না বহিষ্কৃত ও অব্যাহতিপ্রাপ্তরা
Published: 28th, January 2025 GMT
বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফরম বিতরণ শুরু হয়। তবে বিগত সময়ে যারা বিভিন্ন কারণে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন, অব্যাহতি পেয়েছেন তারা কেউই বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন করতে পারবে না।
দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর শাখায় সদস্যপদ নবায়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমনটাই জানান। তিনি বলেন, যদিও তাদের বিএনপির সদস্যপদ ছিল। কিন্তু দল যখন বহিষ্কার করেছে তখন সব পর্যায়ের পদ থেকে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা এখন প্রাথমিক সদস্যপদ নিতে পারবেন না।
জেলার নেতা-কর্মীদের ফরম বিতরণে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, আমরা শুনতে পাই নানাদিক থেকে, নানাভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী কীটপতঙ্গ বিএনপিতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এই কীটপতঙ্গরা যেন ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ছোট ঘটনা অথবা ঘটনাও নয় সেটা নিয়েও বিএনপিকে নানাভাবে কলঙ্কিত করার চেষ্টা চলছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা তো প্রশাসনে, পুলিশে নানা জায়গা থেকেই তারা কাজ করছেন। সেজন্য আমরা যেন আমাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্বচ্ছ রাখতে পারি, দোসররা ঢুকতে না পারে, অপপ্রচার যেন করতে না পারে, সেজন্য এই নবায়ন কার্যক্রম অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সামসুজ্জামান মেহেদী প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ সদস যপদ ব এনপ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।