কুমিল্লায় চোর ধরতে গিয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
Published: 28th, January 2025 GMT
কুমিল্লায় চোরকে ধরতে গিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অদূরে সরকারি কলেজ রোডে এ ঘটনা ঘটে। মৃত কনস্টেবলের নাম মহিউদ্দিন (৫৯)। তিনি পাশের মুরাদনগর উপজেলার গাইডুলি গ্রামের সাঈদুর রহমানের ছেলে। চলতি বছরেই তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামস্ উদ্দিন মো.
তিনি জানান, দেবিদ্বার উপজেলার বারুর এলাকায় চুরির ঘটনায় রুবেল মিয়া নামের এক চোরকে স্থানীয় লোকজন আটকের পর মারধর করে। পরে রাত সাড়ে ৮টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। থানায় আনার পর অসুস্থতা বিবেচনায় রুবেলকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে গেটে একটি অটোরিকশা থেকে রুবেলকে নামানোর সময় সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তাকে ধরতে পুলিশ সদস্য মহিউদ্দিনসহ অন্যরা পিছু নেয়। এক পর্যায়ে মহিউদ্দিন রাস্তায় পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ইব্রাহিম জানান, ওই পুলিশ সদস্যকে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে আনা হয়। তিনি স্টোক করে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।