রাজশাহী স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, যুবক গ্রেপ্তার
Published: 29th, January 2025 GMT
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের ডাকা কর্মবিরতির সময় রাজশাহী রেল স্টেশনে ভাংচুরের ঘটনায় সুমন আহম্মেদ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সুমন আহম্মেদ (২৩) চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানার হুসকপাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের (লোকোমাস্টার, গার্ড, টিটিই) ডাকা কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবার সারাদেশের মতো রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনেও ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় কিছু যাত্রী রাজশাহী রেল স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভেঙে ফেলে। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে ভীতি এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দেয়। পরে এ ঘটনায় রাজশাহী রেলওয়ে থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানান, এ ঘটনার পর আরএমপির নগর বিশেষ শাখা (সিটিএসবি) ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্ত করার কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করে ঘটনার মূলহোতা সুমনকে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে আরএমপি ও রাজশাহী রেলওয়ে থানা পুলিশ আসামি সুমনকে গ্রেপ্তারের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানাকে অবহিত করে। এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার রাতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সুমন আহম্মেদকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে রাজশাহী রেলওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্টেশন মাস্টার শহিদুল আলম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সে মামলায় সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র লওয সদর থ ন র লওয় ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধ, সংঘর্ষে আহত বৃদ্ধের মৃত্যু
পটুয়াখালীর বাউফলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত বৃদ্ধ শাহ আলম রাঢ়ীর (৫৭) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শাহ আলম রাঢ়ী সদর ইউনিয়নের গোসিঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শাহ আলম রাঢ়ীর সঙ্গে প্রতিবেশী গোবিন্দ, বিধান, রাজু ও হৃদয়ের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে শাহ আলম রাঢ়ীর মাথায় আঘাত লাগে। পরে তাকে বরিশাল ও ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সর্বশেষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রউফ বলেন, ‘‘মাথায় আঘাতের কারণে শাহ আলম রাঢ়ীর ব্রেনে জটিলতা দেখা দেয়। পরবর্তীতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’’
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মারামারি ঘটনায় গত ২৪ এপ্রিল বাউফল থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলায় পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব